সব গল্পের দুটো করে দিক আছে। একটা দিক আমরা দেখতে পাই, আর একটা দিক আড়ালে থাকে। সেই আড়ালের ভালো মন্দ দুই দিকই আছে। কিন্তু আমরা যারা মন্দ দিকটাকে ছাপসা করে দিয়ে ভালো দিকটা স্পষ্ট করে তুলতে পারি তারাই আসল মানসিক ক্ষমতার অধিকারী।
এই কথা বলেছেন এমিনি থ্রোন।
নিজের মনের মধ্যে যেমন ভাবনা অভ্যাস করা হয় মানুষ ঠিক তেমন হয়ে ওঠে।
যখনই কোনও নেগেটিভ ভাবনা আমাদের ঘিরে ধরে তখনই আমাদের দেখার চোখ বদলে যায়। হাজার এক ভয়, সংশয় ঘিরে ধরে। একটা যেন কোণের মধ্যে আটকে যাই আমরা। চেষ্টা করেও সহযে সেখান থেকে বেরতে পারিনা।
নেগেটিভ ভাবনা যত মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে দিয়ে ওঠে তত বেশি পজিটিভ ভাবনাগুলো আমাদের থেকে দূরে সরে যায়।
আমরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে বন্দী হয়ে যাই। ভালো আর খারাপের ধন্দ চলে। এই ধন্দ হয়ে দাঁড়ায় টক্সিক।
আসলে আমরা নিজেকে ঠিক যেভাবে ভাবতে বা দেখতে অভ্যস্ত নই সেই মানুষটিও আমাদের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে।
টক্সিক ভাবনা চিন্তা আমাদের ক্ষতি করে। আমরা বুঝতেও পারি না কীভাবে সমস্ত পজিটিভ এনার্জি ফুরিয়ে আসে।
তাই মনকে মুক্ত হতে দিন। নিজের মধ্যে খারাপ-ভালোর বিধি নিষেধ চাপিয়ে দিলে, বারবার নিজেই নিজের সমালোচনা করলে মনের স্বাভাবিক চলন নষ্ট হয়, তাই মন কে মুক্ত করুন।
একদিনের ঝড়ে পাথর রূপ বদলায় না, কিন্তু প্রতিদানের জলের ফোঁটা তার গায়ে দাগ রেখে যায়। তার রূপ যায় বদলে। মনের ক্ষেত্রেও কথাটা খাটে। নিজের মনকে তার আপন ছন্দে চলতে দিন। বেড়ি না পরিয়ে দরজা খুলে দিন। তবেই দেখতে পাবেন নতুন আকাশ।