নাইট পার্টি কিংবা বিয়েবাড়ি, মেকআপ ছাড়া যেন ভাবাই যায় না। বিশেষ দিনে নিজেকে সাজিয়ে তুলতে সকলেই চান।
তাছাড়া বিয়েবাড়ির রোশনাই কিংবা পার্টির ডিজে লাইট, তার নিচে দাঁড়িয়ে নিজের মুখের খুঁত ঢাকা খুবই কষ্টকর। সেইসময় মেকআপ ছাড়া কোনো উপায় নেই। কেউ হালকা মেকআপ পছন্দ করেন, তো কেউ জমকালো মেকআপে সেন্টার অব অ্যাট্রাকশন বিউটিশিয়ানের জানাচ্ছেন, ভিড়ের মধ্যে নজর কাড়তে গেলে ভরসা রাখতে হবে ইলুমিনেটিং মেকআপের উপর। এইধরণের মেকআপের ফলে সৌন্দর্য যেমন বাড়বে তেমন গ্ল্যামারের ছটা হবে চোখে পড়ার মতো। চলুন
জেনে নেওয়া যাক ইলুমিনেটিং মেকআপের স্টেপগুলি..................
১) মেকআপের প্রথম স্টেপেই আসে যে জিনিসটির নাম তা হলো মেকআপ প্রাইমার বা মেকআপ বেস। ইলুমিনেটিং মেকআপের জন্য বেছে নিন ইলুমিনেটিং মেকআপ প্রাইমার। এটি ত্বকের উপরিভাগকে এমনভাবে মসৃন করে তোলে যাতে পরবর্তী মেকআপগুলি সহজে ব্লেন্ড করা যায়। প্রাইমার ব্যবহারের ফলে রাসায়নিকযুক্ত মেকআপের কুপ্রভাব ত্বকের উপর সরাসরি পড়তে পারে না। ত্বকে পছন্দের ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এরপর আঙুলের ডগায় প্রাইমার নিয়ে নাকের পাশে, গালে, চিবুকে আর কপালে ভালো করে লাগিয়ে নিন। হালকা হাতে ম্যাসাজ করে পুরো মুখে তা লাগিয়ে মিলিয়ে দিন ত্বকের সঙ্গে।
২) মেকআপের পরবর্তী স্টেপ হলো ফাউন্ডেশন এবং কনসিলার। ফাউন্ডেশন ত্বকের রং সব জায়গায় সমান করে এবং কনসিলার ডার্ক সার্কেল ও ত্বকে থাকা নানা দাগ ঢাকতে সাহায্য করে থাকে। উভয়ক্ষেত্রেই সেই মেকআপের ইলুমিনেটিং প্রপার্টি আছে কিনা দেখে তবেই কিনুন।
৩) এরপরেই আসছে মেকআপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্টেপটি। যা হলো হাইলাইটিং। এর জন্য আপনাকে ব্যবহার করতে হবে লিকুইড হাইলাইটার। ব্রাশের মধ্যে কয়েকফোঁটা হাইলাইটার নিয়ে চিকবোন থেকে শুরু করে নাক পর্যন্ত লাগান। ব্রাশ বা বিউটি ব্লেন্ডার দিয়ে ভালো করে ত্বকের সাথে ব্লেন্ড করে নিন। চাইলে ফাউন্ডেশনের সাথেও হাইলাইটার মিশিয়ে নিতে পারেন। যদি লিকুইড হাইলাইটার ব্যবহার না করতে চান তাহলে ব্লাশারও ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেটিতেও যাতে শিমারি ব্যাপারটা থাকে সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৪) পরবর্তী স্টেপে শিমারযুক্ত কম্প্যাক্ট পাউডার বেছে নিন নিজের ত্বকের রং অনুযায়ী। এর ফলে ফাউন্ডেশন এবং কনসিলার ত্বকে ভালোভাবে সেট হবে যাবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে কম্প্যাক্টটিও যেন শিমারযুক্তই হয়।
৫) চোখের মেকআপ অনুষ্ঠানের উপর নির্ভর করে করতে হবে। পার্টি নাইট হলে স্মোকি আইজ করতে পারেন আর বিয়েবাড়ি বা সাধারণ কোনো অনুষ্ঠান বাড়ি হলে সেই ক্ষেত্রে হালকা আইশ্যাডো লাগাতে পারেন।তবে খেয়াল রাখবেন আইশ্যাডো যেন কোনোভাবে ম্যাট না হয়। ভুলবশতও যদি ম্যাট আইশ্যাডো লাগিয়ে ফেলেন তাহলেও উপর দিয়ে হালকা করে শিমারি আইশ্যাডোর একটা কোট দিয়ে নিন।
৬) এরপর আসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্টেপ। তা হলো চোখ আঁকা। আইলাইনার লাগিয়ে নিন চোখের আকারের সঙ্গে মানান করে। আইলাইনার না ব্যবহার না করতে চাইলে গাঢ় করে কাজল এবং মাস্কারা লাগিয়ে নিন। মাস্কারা ব্যবহারের আগে চোখের পাতায় প্রাইমারের কোট লাগিয়ে নিন।এতে চোখের পাতা বড় দেখাবে। শেষে আইল্যাশ কার্লার দিয়ে চোখের পাতা কার্ল করে নিলে আপনার চোখ আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
৭) ইলুমিনেট বেশি করতে চাইলে চিকবোনের পাশে লাগিয়ে নিন শিমারি ব্লাশার। পাউটের ভঙ্গিতে গালের খাঁজে লাগিয়ে নিন কন্টর। কন্টোরিং করার ফলে ত্বক একটি নির্দিষ্ট শেপ পায়। সবকিছুই ব্রাশের সাহায্যে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে দিন।
১০) সব শেষে পছন্দ মতো শেডের লিপস্টিক বা লিপগ্লস লাগিয়ে নিলেই কেল্লাফতে। ব্যাস, মেকআপ কমপ্লিট। দেখুন তো সকলের চোখ কার উপর রয়েছে?