দুপুর ১২টা| মাথার উপর সূর্যদেব তার কড়া দৃষ্টি নিক্ষেপ করে চলেছেন| প্রচন্ড রোদের চোখ টাটানি উপেক্ষা করার ক্ষমতা এই ধরাধামের কারোর নেই| প্রতিদিন বাড়ির কাজ মিটিয়ে ঘেমে নেয়ে অফিস যাওয়া আর অফিসের এসি ঘরে পৌছেই শান্তি| কিন্তু অফিস ছুটির পর আবার সমস্যা| কখনো মনে হয় ধুর, বাড়িতে একটা এসি লাগিয়েই নিই| কিন্তু সময়ের অভাব, জায়গার অভাব এবং অনেকসময় সামর্থ্যের অভাব এইসব মিলিয়ে শেষমেষ এসিটা আর কিনে ওঠা হচ্ছে না| কিন্তু ঘরের মধ্যে এই গরমে আর টিকে থাকাও যাচ্ছে না| তাহলে উপায়?
উপায় নিশ্চয়ই আছে| আগেকার দিনে যখন কারোর বাড়িতে এসি ছিল না তারা কিছু বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করতেন তাদের ঘর ঠান্ডা করার জন্য| আজ সেরকমই কিছু পদ্ধতি আমরা আলোচনা করব|
১) ঘরের জানলায় মোটা কাপড় ঝুলিয়ে রাখা যেতে পারে| এর ফলে বাইরের রোদের তাপ ঘরে প্রবেশ করতে পারে না| দিনের বেলা যেই সময়ে সবচেয়ে বেশি রোদ ওঠে সেই সময় রুমের দরজা ও জানলা বন্ধ করে রাখাই শ্রেয়|
২) দক্ষিন-পশ্চিম দিকে জানলার কাছে চাঁদোয়া টাঙ্গানোর ব্যবস্থা করুন| এতে সূর্যের তাপ ৭৭ শতাংশ ভিতরে আসা থেকে আটকে যায়|
৩) ঘরের ভিতরের তাপমাত্রা যখন বাইরের তাপমাত্রার তুলনায় বেশি হয়ে যায় তখন উচিত ঘরের দরজা জানলা সব খুলে দেওয়া| বাইরে থেকে আসা ঠান্ডা হাওয়া ঘরের তাপমাত্রার দ্রুত পতন ঘটাতে থাকে|
৪) বাড়িতে যেসব মেশিন ব্যবহার করছেন না সেইসব মেশিনের সুইচ বন্ধ করে রাখা উচিত| যে কোনো মেশিন দীর্ঘক্ষণ অন থাকলে তার থেকে একধরনের তাপ নির্গত হতে থাকে| তাই যখন ব্যবহার করা হচ্ছে না তখন উচিত সেইসব মেশিনের সুইচ বন্ধ করে রাখা|
এরকমই কিছু পদ্ধতি আপনি ব্যবহার করে দেখতে পারেন| এতেও যদি কাজ না হয় তাহলে আপনি অন্য একটা দিকে বুদ্ধি খাটিয়ে দেখতে পারেন| তার জন্য প্রথমেই একটি ১ লিটারের জলের বোতল নিয়ে মাঝখান দিয়ে কেটে নিন| এবার এই বোতলের টুকরোগুলির মধ্যে বরফের টুকরো ভরে তা টেবল ফ্যানের পিছনের দিকে আটক দিন| এর ফলে বরফের থেকে যে ঠান্ডা বাতাস নির্গত হবে সেই বাতাসকে টেবিল ফ্যানের হাওয়া আপনার দিকে ঠেলে পাঠিয়ে দেবে|
এর থেকেও সহজ একটি পন্থা রয়েছে| আপনি যদি টেবল ফ্যানের সোজাসুজি বসে থাকেন তাহলে টেবল ফ্যানের সামনে একটি বাটিতে বরফ রেখে দিন| সেই ক্ষেত্রেও ঠান্ডা হাওয়া আপনার দিকে সোজা আসবে আর এসির প্রয়োজন পড়বে না|