গরম হোক বা অন্য ঋতু শুক্তো কিংবা ডালনা ছাড়া আর কাঁচাকলা দিয়ে যেন অন্য রান্না মাখাতেই আসে না। অনেকেরই কাঁচকলা না-পসন্ত কাঁচকলার কষা স্বাদের জন্য কিন্তু কাঁচকলার এমন পদ আছে যা এই সবজি সম্পর্কে ধারণাই বদলে দেবে। আজ রইল তেমনি দুই রেসিপির সন্ধান।
কাঁচকলার খোসা বাটা
কী কী লাগবে?
কাঁচকলা
নারকেল বাটা
রসুন কাঁচা
কাঁচালঙ্কা
কালো জিরে
সরষের তেল
লেবুর রস
পেঁয়াজ বাটা
কীভাবে করবেন?
কাঁচকলা সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। নারকেল কুরো, রসুন, কাঁচা লঙ্কা একসঙ্গে শিলে বেটে অল্প নুন মিশিয়ে রাখতে হবে। কড়াইতে সরষের তেল দিয়ে কালো জিরে কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়নের গন্ধ বেরতে শুরু করলে পেয়াঁজ বাটা ভেজে নিয়ে মিশ্রনটা ছেড়ে নুন-চিনি দিয়ে নাড়তে হবে। শুকনো শুকনো হয়ে এলে অভেন অফ। অল্প রস মিশিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন।
কাঁচকলার কোপ্তা কারি
কী কী লাগবে?
মাঝারি সাইজের কাঁচকলা
মাঝারি সাইজের আলু
পেঁয়াজবাটা
আদাবাটা
রসুনবাটা
জিরেগুঁড়ো
হলুদগুঁড়ো
লঙ্কাগুঁড়ো
গরমমসলা গুঁড়ো
চারমগজবাটা
পোস্তবাটা
নারকেলের দুধ
নুন, চিনি
তেজপাতা
দারুচিনি
এলাচ
লবঙ্গ
কাঁচালঙ্কা
কীভাবে করবেন?
কলা ও আলু সেদ্ধ করে খোসা ছিলে গরম অবস্থায় চটকে নিয়ে সামান্য নুন ও লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে মেখে নিতে হবে। এবার কিসমিস কুচি মিলিয়ে কলার মধ্যে দিয়ে কোপ্তার আকারে গড়ে নিতে হবে। কর্নফ্লাওয়ার ও ময়দার ব্যাটার বানিয়ে কোপ্তাগুলো ব্যাটারে ডুবিয়ে ডুবোতেলে বাদামি রং করে ভেজে ওঠাতে হবে। এদিকে তেল গরম করে পেঁয়াজ ভেজে গরমমসলার ফোড়ন দিয়ে সব বাটা ও গুঁড়ো মসলা ভালো করে কষিয়ে নারকেলের দুধ দিতে হবে। ফুটে উঠলে কোপ্তাগুলো দিয়ে রান্না করতে হবে। গ্রেভি কমে এলে চিনি, কাঁচামরিচ, গরমমসলার গুঁড়ো দিয়ে নামাতে হবে।