পাবদা নামটা কানে এলেই মনে হয় যেন উৎসব। সে জন্মদিন হোক বা বিয়েবাড়ি, পাবদা সব সময় হেঁশেলে স্পেশ্যাল। সাদা ধপধপে গরম ভাত আর পাত জুড়ে পাবদা।এপার বাংলা ওপার বাংলা দুই বাংলার রান্নাঘরেই পাবদার আলাদা কদর। সামনেই পয়লা বৈশাখ, তার আগে চৈত্র দিনের উৎসব। উৎসব দিন মাথায় রেখেই আজ রইল পাবদার দুই রেসিপি।
গন্ধরাজ পাবদা
কী কী লাগবে?
পাবদা মাছ
পেঁয়াজবাটা
পেঁয়াজ কুচি
সরষের তেল
গন্ধরাজ লেবু পাতা
গন্ধরাজ লেবুর রস
হলুদ গুঁড়ো
জিরে গুঁড়ো
কাঁচা লঙ্কা গোটা
কাঁচা লঙ্কা বাটা
সরষে বাটা
পরিমানমতো নুন এবং চিনি
কীভাবে করবেন?
মাছ কুটে পরিষ্কার করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নুন আর অল্প হলুদ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইয়ের তেলে পেঁয়াজ কুচি হালকা ভেজে সরষে বাদে বাকি সব সব বাটা ও গুঁড়া মসলা ১ কাপ জল দিয়ে কষান। মসলা ভাজা হয়ে বেরিয়ে এলে মাছগুলো ছেড়ে দিন। ঢেকে রান্না রাখুন।
একবার মাছ সাবধানে উল্টে দিতে হবে। ২ মিনিট পর চিনি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে কড়াই ঝাঁকিয়ে মিশিয়ে দিতে হবে। সবশেষে লেবু পাতা দিন। রান্নার পর যখন লেবুর গন্ধ পাবেন, তখন ওভেন বন্ধ করে দিন। লেবুর রস ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
পাবদা পোস্ত
কী কী লাগবে?
পাবদা মাছ
পোস্তবাটা
সাদা সরষে বাটা
কাঁচালঙ্কা বাটা
কাঁচালঙ্কা গোটা
কালোজিরে
সরষের তেল
হলুদ
নুন স্বাদমতো।
কীভাবে করবেন?
মাছ ধুয়ে হলুদ ও নুন মাখিয়ে রাখুন। হালকা করে ভেজে নিন। ওই তেলের মধ্যেই কালো জিরে আর কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিয়ে হলুদ, কাঁচালঙ্কা বাটা দিয়ে কষিয়ে নিন। মসলা কষানোর পর তেল উঠে এলে তাতে সামান্য পানি দিয়ে ফুটিয়ে মাছ ছেড়ে দিন। একটু পরেই পোস্ত বাটা দিন। তারপর সরষে বাটা। ঝোল ফুটে ঘন হয়ে এলে ২ চামচ সরষের তেল ছড়িয়ে দিন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। পাবদা পোস্ত ঝাল হয়।