চকচকে রূপোলী আঁশহীন গা। নীলচে ভাবটা বলে দেয় এ মাছের দিকে তাকালে এড়িয়ে যাওয়ার সাধ্য নেই। কাচের বিন্দুর মতো চোখ আর সুতো গোঁফ বলে দেয় এই যে দেশি ট্যাংরা!
শীত থেকে গ্রীষ্ম যে কোনও মরসুমে ট্যাংরা রান্নাঘরের প্রেয়সী। গলার ধারালো কাঁটা মাছ কাটতে ভয় দেখালেও ভোজন রসিকদের কাছে সে ভয় তুচ্ছ। বাঙালির হেঁশেলে ঝাল থেকে ঝোল ট্যাংরা আছে সবেতেই।
আজ রইল ট্যাংরার ঝোল আর ঝালের জোড়া রেসিপি।
ট্যাংরা মাছের পাতলা ঝাল
উপকরণ:
ট্যাংরা মাছ
রসুনবাটা
জিরে-কাঁচালঙ্কা-গোলমরিচ বাটা
গোটা কাঁচালঙ্কা
সরষের তেল
হলুদ গুঁড়ো
জল এক কাপ
কীভাবে করবেন?
মাছ ধুয়ে অল্প অল্প হলুদগুঁড়ো আর সরষের তেল মাখিয়ে নিন। সরষের তেল মাখিয়ে রাখলে ভাজার সময় মাছ ফাটবে না। মাছ ভেজে তুলে রাখুন। মাছ নরম করে ভাজবেন। কড়াইয়ে আরও কিছু তেল দিন। কয়েকটা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে মসলা কষিয়ে নিন। প্রয়োজন মতো জল দিন। ফুটে উঠলে ভাজা মাছ দিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রান্না করে মাখা মাখা হয়ে উঠলে নামিয়ে নিন।
লাউ ট্যাংরা
উপকরণ
একটি মাঝারি সাইজের লাউ
ট্যাংরা মাছ
সরষের তেল
পেঁয়াজকুচি
কাঁচালঙ্কা বাটা
ধনেপাতা
হলুদ
নুন
চিনি
জল
প্রথমে অল্প নুন আর হলুদ মাখিয়ে মাছগুলো হালকা ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে বাকি তেল দিয়ে পেঁয়াজ ভেজে নিতে হবে। পেঁয়াজ গোলাপী হয়ে এলে বাটা লঙ্কা, নুন, হলুদ এবং প্রয়োজনমতো জল দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে। কষানো হয়ে গেলে ডুমো করে কাটা লাউ দিয়ে নেড়েচেড়ে দেড় থেকে দুই কাপ জল দিয়ে ঢেকে দিন। সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই ঢাকা থাকবে। হাতে সময় কম থাকলে লাউ প্রেশারে হালকা ভাপিয়েও নিতে পারেন। লাউ জল বেরিয়ে নরম হয়ে গেলে ট্যাংরা মাছগুলো তার মধ্যে ছেড়ে দিন। স্বাদমতো নুন আর চিনি দিন। ৭-১০ মিনিট পর তেল ওপরে উঠে এলে কিছু ধনেপাতা ছড়িয়ে দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
চাল কুমড়ো দিয়েও এভাবেই ট্যাংরার ঝোল রান্না করতে পারেন।