বর্ষাকাল প্রায় এসেই গেলো। আর বর্ষার আগমনের সাথে সাথে যে জিনিসগুলি বেশ ভোগান্তি নিয়ে আসে তা হলো জমা জল আর প্যাঁচপ্যাঁচে কাদা। আর এই জমা জল মানে তাতেই বংশবৃদ্ধি করা শুরু মশাদের। আর মশা মানেই ম্যালেরিয়া থেকে শুরু করে চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু প্রভৃতি রোগ। তাই বর্ষা আসার সাথে সাথে কিভাবে বাঁচবেন এই মশাবাহিত রোগগুলির থেকে জেনে নিন.......................
প্রথমেই একটা কথা সকলেরই জানা তাও একবার বলে রাখা ভালো। সেটা হলো শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষা মশারি টাঙানোর অভ্যেস অবশ্যই করা উচিত। কারণ মশারি টাঙ্গালে শুধু মশার হাত থেকে বাঁচা যায় তা কিন্তু নয়। ঘুমের মধ্যে অনেকসময়ই নানা ধরণের ক্ষতিকর পোকামাকড় আমাদের কাছে এসে যেতে পারে। ঘুমের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে আমরা বুঝতেও পারি না সেটা। তার ফল হিসেবে সেই পোকার কামড় খেতে হয়। অনেকসময় দেখা যায় কানের ভিতরেও প্রবেশ করে সেই পোকা। এর ফলে কান ব্যাথা থেকে শুরু করে কম শোনার সমস্যা সবকিছুই হতে পারে। তাই যেকোনো ঋতুতেই মশারি অবশ্যই টাঙানো উচিত।
যত্রতত্র জল জমতে দেবেন না। অ্যানোফিলিস, কিউলেক্স এবং এডিসজাতীয় মশারা যেহেতু জমা জলে ডিম পাড়ে তাই বাড়ির কাছাকাছি এলাকায় জল জমতে দেওয়া মশাকে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানানোর সমান। আপনি নিশ্চই চাইবেন না মশারা আপনার বাড়িকেই তাদের ডেরা বানিয়ে ফেলুক? তাই যেসব জায়গায় বৃষ্টির ফলে জল জমার আশঙ্কা থাকে সেইসব জায়গায় সজাগ দৃষ্টি রাখুন। নারকেলের খোলা, ভাঙা ভাঁড় প্রভৃতি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দূরীকরণ করুন। জুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীদের মতে, মশাদের বংশবৃদ্ধি রোধ করার জন্য নানা জায়গায় ব্লিচিং পাউডার থেকে শুরু করে নানারকম কীটনাশক দ্রব্য ছড়ানো হয়। সেগুলিতে সাময়িকভাবে কাজ দিলেও এইসব সামগ্রীর কার্যকারিতা আধ ঘন্টার বেশি সময় থাকে না। তাই মশাজাতীয় প্রাণীর আসা যাওয়া কমানোর চেষ্টা করা বৃথা। তার থেকে তাদের বংশবৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশকেই যদি ধ্বংস করা যায় তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। বাড়ির কাছাকাছি এলাকায় বা নিজের বাড়ির মধ্যেই যদি আবর্জনার স্তুপ থাকে তাহলে তা যত দ্রুত সম্ভব পরিষ্কার করে ফেলা উচিত।
অন্যদিকে, এইবছর বর্ষার আগমনের সাথে সাথেই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সাথে বিভিন্ন দফায় বৈঠক করেছে পুরসভা। এর সাথে সাথেই গত বছর যেইসব এলাকায় মশার লার্ভার খোঁজ মিলেছিল সেইসব জায়গায় এবার বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে।