অধরে মধুর হাসি, মাথায় তিলক।
রামলালার রূপে মুগ্ধ জগৎ। ২২ জানুয়ারী অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া রাম লালার মূর্তি সামনে আসে। কৃষ্ণশিলায় ৫১ ইঞ্চি উচ্চতার বিগহের জমকালো সাজ আলাদা করে নজর কেড়েছিল ভক্তদের। ২২ জানুয়ারি প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন রামলালার পরনে ছিল হলুদ রঙের বেনারসি ধুতি। গায়ে ছিল লাল পট্টবস্ত্র। এই পট্টবস্ত্রে সোনার জরি দিয়ে কারুকাজ করা হয়েছে। শঙ্খ, চক্র, পদ্ম, ময়ূর ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পট্টবস্ত্রে। তৈরি করে দিল্লির একটি সংস্থা।
সপ্তাহের সাতদিন ভিন্ন ভিন্ন সাজপোশাকে ভক্তদের দর্শন দেবেন রামলালা। সপ্তাহের সাত দিন সাত রঙের পোশাক পরবেন তিনি।
সোমবার- সোমবার সাদা রঙের পোশাকে সজ্জিত হবেন রামলালা।
মঙ্গলবার- মঙ্গলে লাল রঙের পোশাক পরানো হবে রামলালাকে।
বুধবার- বুধবার হালকা সবুজ রঙের কাপড় পরানো হবে রামলালাকে।
বৃহস্পতিবার- প্রতি বৃহস্পতিতে হলুদ রঙের পোশাকে রামলালাকে সাজাবেন পূজারিরা
শুক্রবার- রামলারা পরনে থাকবে ক্রিম রঙেরপোশাক
শনিবার- শনিবার নীল পোশাকে সজ্জিত হবে রামলালা।
রবিবার- রবিবার গোলাপী রঙের পোশাকে রামলালা সাজবেন
ফ্যাশন ডিজাইনার মণীশ ত্রিপাঠি অযোধ্যাভূমিতে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা দিবসের পোশাকসজ্জার দায়িত্বে ছিলেন। ৪০ দিন ধরে ১৫ জন কারিগর মিলে পোশাক তৈরি করেছেন। ব্যবহার করা হয়েছে পিতাম্বরী জরি ওয়ার্ক। বারাণসী থেকে সোনা ও রূপোর সুতো আনা হয়। রামলালা চক্রবর্তী রাজা দশরথের পুত্র, পঞ্চম বর্ষীয় বালকরূপে অধিষ্ঠান করছেন অযোধ্যা মন্দিরে।
স্বর্ণ সাজেও রামলালার সৌন্দর্য অনুপম। ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’-র দিন কী কী গয়না পরেছিলেন রামলালা? রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট্রের তরফে জানানো হয়, রামলালার গায়ে কমপক্ষে ১৫ কেজি সোনা রয়েছে। ১৮ হাজার হিরে ও পান্না খচিত রয়েছে রামলালার গহনায়। রামলালার শরীরে যে গহনাগুলি রয়েছে, তাতে শুধু বিভিন্ন নকশাই নয়, রামায়ণের নানা শ্লোকও লেখা রয়েছে। প্রতিটি অংশ আলাদাভাবে তৈরি করেছেন স্বর্ণকাররা। রামলার মাথায় সোনা-হিরের মুকুট, কপালে হিরে খচিত তিলক, গলায় চারটি নেকলেস, হাতে বাজুবন্ধ, দুই পায়ে তোড়া, বিজয় মালা ও দুটি আংটি। লখনউয়ের হর্ষমল শ্য়ামলাল জুয়েলার্সকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রামলালার গহনা বানানোর। মাত্র ১২ দিনেই সমস্ত গহনা তৈরি করা হয়েছে।
সোনা ও হীরের গয়নার পাশাপাশি রামের বিগ্রহের হাতের তির-ধনুকটিও সোনায় মোড়া।