হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন, তারপরেই কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দিবারাত্রী টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামবে ভারত ও বাংলাদেশ, যা খেলা হবে গোলাপি বলে। ২২ তারিখ, এই ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচের আয়োজন হলেও ২০১৬ দলীপ ট্রোফি ও সিএবি সুপার লিগ ফাইনাল সাক্ষি ছিল গোপালি বলের টেস্ট ম্যাচের। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা গোলাপি বলে অতটাও ওয়াকিব না হলেও, ভারতের লাইনআপে এমন অনেক খেলোয়াড় আছে যাদের কাছে গোপালি বল-এর টেস্ট নতুন নয়। তাদের মধ্যে প্রধান উল্লেখ্য যারা, তারা হলেন :-
রোহিত শর্মা – ২০১৬ সালে দলীপ ট্রোফির ফাইনালে প্রথম এই গোলাপি বলে খেলা হয়। যেখানে ইন্ডিয়া রেড-কে ৩৫৫ রান হারায় রোহিত শর্মার ইন্ডিয়া ব্লু। হিটম্যান তাতে ৩০ বলে ৩২ রান করেন।
মায়াঙ্ক আগরওয়াল – ২০১৬ দলীপ ট্রোফির ফাইনালে তিনি, ইন্ডিয়া ব্লু দলের হয়ে ১৬১ রান করেন। এমনকি গোলাপি বল-এর টেস্টে ৫ ইনিংসে তার সংগ্রগহে ছিল ৪১৯ রান। প্রতিটিতেই অর্ধশতরান ছিল মায়াঙ্কের। তাই আসন্ন গোলাপি বলের টেস্টে তিনি যে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের প্রধান কান্ডারী তা বলাই বাহুল্য।
চেতশ্বর পুজারা – মায়াঙ্ক আগরওয়ালের পরে তিনি দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান যিনি গোলাপি বলে যথেষ্ট সফলতা অর্জন করেন। ২০১৬ দলীপ ট্রফিতে তিনি ২৫৬ রান করেন যা ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসাবে সর্বচ্চ। তাই গোলাপি বল যে খুব একটা সমস্যায় ফেলবে না তাকে তা বলাই যায়।
ঋদ্ধিমান সাহা – দলীপ ট্রফির অভিজ্ঞতা না থাকলেও, সিএবি সুপার লিগ ফাইনালে গোলাপি বল-এর ম্যাচ খেলেছেন তিনি। মোহন বাগানের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৩৩ রান করেছিলেন ভারতের এই উইকেট রক্ষক।
মহম্মদ শামি – ঋদ্ধিমান সাহার মতনই, সিএবি সুপার লিগ ফাইনালে গোলাপি বল-এর ম্যাচ খেলেছেন তিনি। মোহনবাগানের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৪২ রান দিয়ে ৫ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৮২ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ‘ম্যান অফ দি ম্যাচ’ হন তিনি।
এছাড়াও ঈশান্ত শর্মা, কুলদ্বীপ যাদব, রিশভ পন্ত ও হনুমা বিহারীর গোলাপি বলের অভিজ্ঞতা আছে। ২০১৬ দলীপ ট্রোফি তে গোলাপি বলে ১১টি উইকেট নিয়ে নজর কেড়েছিলেন কুলদ্বীপ ও অন্যদিকে ২০১৭ সালে গোলাপি বলে একটি মাত্র ম্যাচ খেলেছিলেন হনুমা বিহারী, যেখানে তিনি ১০৫ রান করেন।