পাকস্থলির ডানদিকে লিভারের ঠিক নিচে এক ছোট্ট অঙ্গ হল গলব্লাডার। বাংলায় পিত্তথলি। পিত্তথলি পিত্ত সঞ্চয় করে, যা লিভার দ্বারা উৎপাদিত একটি পরিপাক তরল।
পিত্তথলিতে শুরু হওয়া কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির একটি অবস্থা পিত্তথলির ক্যানসার নামে পরিচিত। পিত্তথলির ক্যান্সার একটি বিরল ঘটনা।
প্রাথমিক পর্যায়ে অনেক সময়ই গলব্লাডার ক্যানসার বোঝা যায় না। তবে তলপেটে যন্ত্রণা, গ্যাসের সমস্যা, বমিভাব, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, পেট ফুলে যাওয়া, অস্বাভাবিক প্রস্রাব, এমনকি জন্ডিসও হতে পারে গলব্লাডার ক্যানসারের লক্ষণ।
পিত্তথলিতে পাথরের সমস্যা হয়ে থাকলেও গলব্লাডার ক্যানসারের ঝুঁকি থেকে যায়। পিত্তনালির প্রদাহ, দীর্ঘস্থায়ী কোলাইটিস, পিত্তথলির পলিপ, স্ক্লেরোসিং কোলেঞ্জাইটিস কারণে ক্যানসার সংকট দেখা দিতে পারে।
পিত্তথলির ক্যানসার চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। যখন ক্যান্সার পিত্তথলিতে সীমাবদ্ধ থাকে, তখন পিত্তথলি অপসারণের জন্য কোলেসিস্টেক্টমি করা হয়ে থাকে। এছাড়া কেমোথেরাপি, ড্রাগ থেরাপি, ইমিউনোথেরাপি, করা হয়ে থাকে।
সরোজ গুপ্ত ক্যান্সার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট দেশের অন্যতম সেরা ক্যানসার চিকিৎসা কেন্দ্র। একখানকার ওঙ্কলজি বিভাগে আধুনিকতম পদ্ধতিতে ক্যানসার নিরাময় করা হয়। আছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম। ক্যানসার সংক্রান্ত চিকিৎসার তথ্যের জন্য ভিজিট করতে পারেন প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইটে।