সারাদিন মোবাইলে ব্যস্ত? মেনে চলুন ২০-২০-২০ নিয়ম

ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, মোবাইল। এখন কাজ মানে স্ক্রিন। গোটা অফিস সিস্টেমটাই একটা ডিভাইসে বন্দী। শুধু অফিস বা কাজ, স্কুল, কলেজ কেন বলা ভাল গোটা জীবনযাত্রাটাই ডিভাইস নির্ভর। দিনে ঘুমের সময়টুকু ছাড়া সর্বক্ষণ জীবন স্ক্রিনবন্দী। তবে এর দামও দিতে হচ্ছে শরীরকে। চোখ, আঙুল তো বটেই আরও নানা অঙ্গে প্রভাব পড়ছে সরাসরি। শারীরিক এবং মানসিক দুই স্থিতিই নষ্ট হচ্ছে।

একটানা স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকা, ডিভাইস থেকে আসা উজ্বল আলোকরশ্মি, চোখের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা তৈরি করে। ঘাড়ব্যথা,মাথাব্যথার কারণও হয়ে উঠতে পারে ডিভাইস।

ডিজিটাল স্ক্রিনে একটানা তাকিয়ে থাকলে চোখ লাল হয়ে যায়।  শুষ্ক হয়ে যায়। চোখ ডিজিটাল ডিভাইসের আলোর তীব্রতা ফিল্টার করতে পারে না। ক্ষতিগ্রস্তহয় রেটিনা। ডিভাইসের কারণে মায়োপিয়া,  মানে দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখতে না পাওয়ার সমস্যা শিশুদের মধ্যে অনেক বেড়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।  এছাড়া ঘুমের সমস্যা, মনোযোগের অভাব তৈরী হয়। আর এই সমস্যাতেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তহয় শিশু ও কমবয়সীরা।  

কোনও ব্যক্তি প্রতি দিন ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখে গঠনগত পরিবর্তন নজরে আসে। শুধু তা-ই নয়, চোখের মণির আকারেও এর প্রভাব পড়ে।

ডিভাইস ছাড়া জীবন আর সম্ভব নয়। কিন্তু ডিভাইসজনিত শারীরিক সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। যাদের সারাক্ষণ ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনে আটকে থেকে কাজ করতে হয় তাদের জন্য সমাধান হিসেবে চিকিৎসকরা ২০-২০-২০ নিয়মে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

কেমন সেই নিয়ম?

২০-২০-২০ নিয়মে তাঁরা বলছেন ২০ মিনিট পরপর অন্তত ২০ ফুট দূরত্বে থাকা কোনো বস্তুর দিকে লক্ষ্য স্থির করে অন্তত ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকতে হবে।

২ ঘন্টা টানা কাজ করলে ১০ মিনিট বিরতি নেওয়া প্রয়োজন। বসে না থাকে পেশির নড়াচড়া করাতে হবে। শুয়ে ডিভাইস দেখতে বারণ করছেন। এতে চোখের পেশিতে চাপ পড়ে। বেশি দিন এমনটা করলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হতে পারে।

মোবাইলে বাড়টি আলো ব্যবহার না করাই ভাল। শুরুতে সমস্যা না দেখা গেলেও কয়েক বছর পর থেকেই দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হতে শুরু করে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...