শীতে চারপাশের রুক্ষতায় বাড়ে ধূলোর সমস্যা। তারওপর শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নির্মাণের কাজ আরও বাড়িয়ে দেয় বায়ুদূষণকে। তাই ধূলোয় যাদের সমস্যা আছে তাদের অনেকেই ডাস্ট অ্যালার্জিতে ভোগেন। বছরের এই সময়টা সমস্যা আরও বেড়ে যায়। শুধু রাস্তার ধূলো-ধোঁয়া নয়, ঘরের ভেতরে ও আশপাশও যেমন মাকড়সার ঝুল, হাউস মাইট, কার্পেটের ধূলো, ঘরের ধূলোও হয়ে উঠতে পারে অসুস্থতার কারণ।
কুকুর, বিড়ালের মতো পোষা প্রাণীর চুল ও খুশকিতেও ডাস্ট অ্যালার্জি হয়। ফুলের পরাগরেণু নাক ও গলায় প্রবেশ করলেও অ্যালার্জি হতে পারে।
ডাস্ট অ্যালার্জি সমস্যা দেখা দিলে একটানা হাঁচি-কাশি হয় অনেকের।শরীরে চুলকানি ও লাল ফুসকুড়ি বের হয়। কারও চোখ লাল হয়ে যায়। অ্যাজমার অ্যাটাকও হতে পারে। হালকা ধোঁয়ায় শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
ঘন সর্দি ও নাক বন্ধ হওয়া, ক্লান্তি ও দুর্বলতা, চোখ ফুলে যাওয়া, শুষ্ক কাশি, চোখ, নাক ও গলায় চুলকানি, চোখের নিচে কালো দাগ, , কান বন্ধ, গন্ধ হ্রাস ও গলাব্যথা, মাথাব্যথা, চামড়ার ওপর ফুসকুড়ি ওঠা ইত্যাদি উপসর্গ হতে পারে।
এরকম পরিস্থিতির মুখে পড়লে ধূলো থেকে দূরে থাকতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ঘরোয়া প্রতিকার
এক গ্লাস গরম জলে দুই চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার ও সামান্য মধু মিশিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দুবার খাওয়া যেতে পারে।
দুই টেবিল চামচ খাঁটি মধু এক কাপ জলে মিশিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দুবার খেতে খেলেও আরাম পাওয়া যায়। নিয়মিত আমলকি খেলে অ্যালার্জি সংক্রান্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। লেবুসহ সাইট্রাস জাতীয় ফল নিয়ম করে খাওয়া উচিত।
তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু না করাই ভাল। ধূলোর অ্যালার্জি থেকে হাঁপানি, অ্যাজমার মতো সমস্যাও তৈরী হয়।