দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝুন

বেশ চলছিল, হঠাৎ এমন দাঁতে ব্যথা যে চোখের ঘুম গেল উড়ে। খেতে কষ্ট। স্থির হয়ে বসার উপায় নেই। অথচ ব্যথার কারণ জানা নেই!
 কথায় বলে ‘দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝে না’- বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে এই কথাটা ভীষণভাবে সত্যি। দু’বেলা দু’বার ব্রাশ ছাড়া আর কিছু তেমন হেলদোল থাকে না। ব্যথা হলে পেন কিলার কিংবা পাড়ার মেডিকেল স্টোর থেকে বলেকয়ে ট্যাবলেট।
কিন্তু এভাবে চললে বিপদ বাড়ে বই কমে না। অনেক সময় দাঁতের সমস্যা ফেলে রাখলে প্রাণ সংশয় পর্যন্ত হতে পারে। অনেক অসুখের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে দাঁতে সংক্রমণ হিসেবে দেখা দেয়।
দাঁত সংক্রমিত হয়ে দাঁতে গর্ত দেখা যায়। মাড়ির হাড়, মুখের ত্বকেও ছড়িয়ে পড়ে। মুখের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ক্যান্সার, হার্টের রোগ, স্ট্রোক, ফুসফুসের রোগের মতো একাধিক সমস্যা দেখা দেয়।
প্রতিটি দাঁতের দুটি প্রধান অংশ রয়েছে - মুকুট এবং মূল। মুকুট হল দাঁতের সেই অংশ যা আপনি দেখতে পাচ্ছেন এবং মূলটি আপনার মাড়ির নিচে লুকিয়ে আছে। এটি দাঁতের মোট দৈর্ঘ্যের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ তৈরি করে। প্রাপ্তবয়স্কদের আক্কেল দাঁত সহ ৩২টি স্থায়ী দাঁত থাকে।
আজকাল সফট ড্রিঙ্কস, চকলেট, কোল্ড ড্রিংকস খাওয়ার চল দাঁতের রোগ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। দাঁতে সমস্যা একবার দেখা দিলে, তা চলতেই থাকে।
দাঁতের একাধিক সমস্যা হয়। সেসব এড়াতে দাঁতের নিয়মিত যত্ন নেওয়া খুব জরুরী। দিনে দু’বার নরম ব্রাশ দিয়ে ব্রাশ করতে হবে। প্রতি ২-৩ মাস অন্তর বদলাতে হবে ব্রাশ। ৬ মাস-১ বছর অন্তর চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত রুটিন চেক আপের জন্য। দাঁত সংক্রান্ত কোনও সমস্যা ফেলে রাখবেন না।
দাঁত সংক্রান্ত যে কোন সমস্যায় যেতে পারেন আনন্দলোক হসপিটালের ডেন্টাল ইউনিটে। কসমেটিক ডেন্টিস্ট্রি, অর্থোডন্টিক ট্রিটমেন্ট, ক্রাউন অ্যান্ড ব্রিজ ওরাল সার্জারি, পেরিওডেন্টাল ট্রিটমেন্ট হয় এখানে। সাধ্যের মধ্যেই দাঁতের চিকিৎসায় আধুনিকতম সুবিধা পাওয়া যায় এখানে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...