২২ ডিসেম্বর ফের দর্শকদের সামনে এল সুমন ঘোষ পরিচালিত ‘কাবুলিওয়ালা’। সেখানে নাম ভূমিকায় দেখা যাবে বাংলার মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীকে। সাথে ‘মিনি’ তো আছেই। এই ছবিতে ছোট্ট ‘মিনি’র চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে অনুমেঘা কাহালীকে। এই বাচ্চা মিষ্টি মেয়েটি মন কেড়েছে বহু দর্শকদের।
১৮৯২ সালের রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘কাবুলিওয়ালা’ যতবার ফিরে আসবে, ততবারই মন কাড়বে সকলের। তবে, দর্শকদের মন আজও ডুবে আছে সেই ১৯৫৭ সালের তপন সিংহের পরিচালিত ‘কাবুলিওয়ালা’র মিনির কাছে। সেখানে ‘মিনি’র চরিত্রে অভিনয় করেছিল ঐন্দ্রিলা ঠাকুর ওরফে টিঙ্কু ঠাকুর। তাঁর সেই মিষ্টতা মন কেড়েছিল সকলের। আজও সবার মনে সেই ‘টিঙ্কু ঠাকুরের ‘মিনি’ই বাস করে। কিন্তু এবার ছোট্ট অনুমেঘা মিনি হয়ে মন কাড়ছে সকল মানুষের।
শুরু হয় ‘দাদাগিরি’ মঞ্চ থেকে। এরপর শুরু হয় তার অভিনয় জীবন। প্রথমে সুযোগ পায় ‘বোধিসত্বের বোধবুদ্ধি’, তারপর ‘মিঠাই’। এবার সুযোগ পেল বড় পর্দায়।
‘ক্লাস টু’-য়ে পড়ে মিনি। অভিনয় জগতের বাইরে ছোট্ট অনু খুবই দুষ্টু। তার মাকে খুবই জ্বালায় বাড়িতে। বদমাইশি করে। তাই মায়ের কাছে খুবই বকাঝকা খায়। কিন্তু বাবা খুবই ‘প্যাম্পার’ করে ছোট্ট মেয়েকে।নিজেকে নিজেই বলছে সে বড়ই ‘অবাধ্য’।
বড়পর্দার ছোট্ট মিনি জানালেন তাঁর খুব ভালো লেগেছে শুটিং করে। প্রচুর মজা করেই নাকি কাজ করেছে গোটা টিমের সাথে।
মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গেই বেশীরভাগ সময় থাকত তাঁর অনস্ক্রিন মিনি। অফস্ক্রিনে প্রচুর মজা করেছে তাঁর মিঠুন আঙ্কেলের সাথে। সে বলেছে যে তাঁর মিঠুন আঙ্কেল শুটিংয়ের জন্য ড্রেস আপ করলেই পাগড়ি ধরে টানাটানি করত। আবার অনেকসময় পাগড়ির ভাঁজও খুলে দিয়েছে। এখানেই শেষ নয় নকল দাড়িও চুলকে দিয়েছে, ভুঁড়ি বাজিয়েছে, গুঁতো মেরেছে। খুবই আনন্দে শুটিং করত আর বোঝাই যাচ্ছিল যে খুবই দুষ্টুমি করত অনু।
অন্যদিকে সোহিনি দিদি (সোহিনি সরকার) তাঁকে ‘কিপটে’ আর ‘পেটুক হাতি’ বলেছে। আর আবির দাদা খুবই ভালোবাসত। শ্যুটিং শেষে একটা গিফট দিয়েছিল তাকে।
সব মিলিয়ে অনুমেঘা সেটে খুবই মজা করেছে। মন কেড়েছে সবার। এবার দর্শকদেরও মন কেড়েছে ছোট্ট ‘মিনি’ অনু।