উন্নয়নের সাথে কংক্রিটের সম্পর্ক গভীর । বাড়ি , রাস্তাঘাট , সেতু এসব তো কংক্রিট ছাড়া ভাবাই যায় না । এমনকি তা মেরামতির হ্যাপা সে কি চারটি খানিক কথা ! সে তো আর নিজে নিজে সেরে উঠতে পারবে না। দস্তুর মতো তার জন্য প্রয়োজন মিস্ত্রী, সময় । কিন্তু এতদিনের এই ধারণা পাল্টাতে চলেছে খুব শীঘ্র । কারণ, বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই প্রমান করে ফেলেছেন যে ,কংক্রিটেও প্রাণের সঞ্চার ঘটানো যায় । কিন্তু কংক্রিটের মধ্যে যে প্রাণ থাকতে পারে এমন শুনেছেন ! নাতো ! আজ সেই আশ্চর্য কথাই জানাবো।
মার্কিন ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডো বোল্ডারের গবেষকরা এক প্রকারের কংক্রিট বানিয়েছেন , যার মধ্যে আছে প্রাণ । কিভাবে ? এর জন্য তারা ব্যবহার করেছেন সায়ানো ব্যাকটেরিয়া । গবেষকরা দেখেছেন, এই ব্যাকটেরিয়া কংক্রিটের মধ্যে মিশিয়ে দেওয়ার পর তারা স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকে । এমনকি তারা বাতাস থেকে কার্বন - ডাই – অক্সাইড শোষণ করে বানায় ক্যালসিয়াম কার্বোনেট । এই ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের উপর নির্ভর করে সিমেন্টের গুণমান।
গবেষকদের মতে , এর ভিত্তিতে তারা এই ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে জীবন্ত কংক্রিটের বাড়ি বানাবেন । যার থাকবে বিশেষ ক্ষমতা , আর তা হলো দেওয়ালের কোনো ফাটল দেখা দিলে বাড়ি নিজেই তা সারিয়ে নেবে। একই সাথে বায়ুকেও দূষণমুক্ত করতে সাহায্য করবে - তবে এক্ষেত্রে একটি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে যা নিরসনও সময়ের অপেক্ষা। আর তা হলো এই ব্যাকটেরিয়া আদ্র পরিবেশে বাঁচে । তাই তাকে শুষ্ক পরিবেশের সাথে অভিযোজনের জন্য চলছে বাকি গবেষণা । তবে বলা চলে , এ ব্যাপারে সাফল্য প্রায় দোর গোড়ায় । তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যা বলছে তাতে মানুষের এই ক্ষেত্রের কর্মবৃত্ত ক্রমশঃ ছোট হয়ে যাবে , কারণ কংক্রিটও যে মেরামতির জন্য হয়ে উঠবে স্বনির্ভর ।