ক্রমশ বাড়ছে জনসংখ্যা। যার জেরে বাড়ছে পরিবেশ দূষণের মাত্রা। পাশাপাশি বেড়ে চলেছে সংকট। তাই বিজ্ঞানীরা এর বিকল্প সন্ধান করতে শুরু করে দিয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে। জানা গিয়েছে, আমাদের ভবিষ্যত ঠিকানার কথা। মঙ্গলেই হতে পারে সেই ঠিকানা তেমনটাই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশের গবেষণা সংস্থাগুলি মিলে মারস ওয়ান প্রজেক্ট এর কাজ শুরু করে দিয়েছে। এদের উদ্দেশ্য ২০৩২ সালের মধ্যে মঙ্গলে উপনিবেশ তৈরি করা। বাড়ি ঘর প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা সহ গড়ে তোলা হবে ছোট ছোট এলাকা। এছাড়া মহাকাশচারীদের পাঠিয়ে দেখা হবে সেখানে জীবন যাপন সম্ভব কিনা। তবে এর জন্য চাই বিশেষ বন্দোবস্তের। তাই নিউওয়ার্ক ও আর্কিটেকচার মঙ্গলগ্রহের আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কিভাবে বাড়ি ঘর তেরি করা যায় তার পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে। থ্রিডি প্রযুক্তির দ্বারাই ডিজাইন তুলে ধরেছে তারা। এখানে চার জন মহাকাশকারীদের থাকার মত ডিজাইন গড়ে তোলা হয়েছে। কয়েকটি বাড়ি দেখতে খানিকটা মাটির তৈরি উল্টোনো ফুলদানির মতো। ধূলো ঝড় ও রুক্ষ আবহাওয়ায় ফলে কোনও ক্ষতি হবে না ঘর গুলির। উচ্চতা বেশি হওয়ায় ফলে জায়গা মিলবে অনেকটা। ল্যাব, রান্নাঘর, শোওয়ার ঘর সমেত সংসার সাজিয়ে দেওয়া হবে মহাকাশচারীদের।পৃথিবীতে সিমেন্টের মেঝে বানিয়ে একতলা ও দোতলাকে আলাদা করা হয়। তবে মঙ্গলে বাড়িগুলিতে একতলা থেকে দোতলায় যেতে গেলে মাকড়শার জালের মতো পথ দিয়ে যেতে হবে। ব্যাসল্ট ফাইবার দিয়ে তৈরী করা হবে সেই বিশেষ পথ। কিছু বাড়ি আবার হবে অর্ধেক ভাঙা ডিমের খোসার মতো দেখতে। বাড়িগুলিতে থাকবে জানালা। যাতে দিনের বেলা জানলা দিয়ে সূর্যের আলো এসে পড়তে পারে ঘরে। আবার সূর্যের আলোকে কাজে লাগিয়েই ল্যাবের কাজকর্ম সারা হবে। রান্নাবান্নাও হবে সৌরশক্তির মাধ্যমে। চাইলে গাছপালাও লাগাতে পারবেন মহাকাশচারীরা। ফলাতে পারবেন শাক-সবজি। তার জন্যও নির্মাণ করা হবে ঘোরানো সিঁড়ি দিয়ে বাগান। যেহেতু মঙ্গলের মাটিতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন-অক্সাইড আছে তাই সেই মাটি ব্যবহার করে এই বাড়িতে বাগান তৈরি করা যাবে বলে জানা গিয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের মত ইগলুর অনুকরণে মঙ্গলে বরফের তৈরি বাড়ি-ই বসবাসের আদর্শ জায়গা হবে। কারণ মঙ্গলে মাটির তলায় প্রচুর বরফ রয়েছে। তাই বাড়ি তৈরির উপাদানে কোন ঘাটতি দেখা দেবে না। আবার বরফ তেজস্ক্রিয় বিকিরণ প্রতিরোধেও সক্ষম। তবে জানা গিয়েছে, এই সমস্ত বাড়ির ডিজাইনগুলি পছন্দ হয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার।