এক ডালি প্রকল্পের বাহারে সেজে উঠছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়ছে সেসব প্রকল্পের পরিষেবা। এসব প্রকল্পের আওতায় যোগ হল পর্যটন বিকাশও। রাজ্যের পর্যটন বিকাশে এবার হাউসবোট নামছে গঙ্গাবক্ষে। গত শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারকেশ্বরের সরকারি সভা থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে যেসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন তার ভিতর অন্যতম গঙ্গা বক্ষের বোটহাউস প্রকল্প।
গঙ্গাবক্ষে যে দুটি হাউস বোট চালু করা হল, তার একটির নাম গঙ্গাশ্ৰী এবং অপরটি জলশ্রী। নামকরণে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এই দুটি হাউসবোটের পাশাপাশি আগামীতে আরো দুটি হাউস বোট নামতে চলেছে মুকুটমণিপুরে। এই দুটি হাউসবোট -এর নামকরণ করা হয়েছে মুকুটিয়া ১ এবং মুকুটিয়া ২ নামে।
সরকারি হাউস বোটগুলিতে অবশ্য থাকার কোন ব্যবস্থা নেই। এই হাউস বোট গুলিতে ৩০ থেকে ৪০ জন যাত্রী নিয়ে গঙ্গা বক্ষের সৌন্দর্য্য দেখতে দেখতে কনফারেন্স বা অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। হাউস বোটের ভিতরেই বন্দোবস্ত রয়েছে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বড় হল ঘরের। এর সার্বিক দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন বিভাগ। মাঝ নদীতে আগুন সংক্রান্ত কোন ঝামেলা এড়াতে হাউসবোটে খাবার তৈরির কোনরকম ব্যবস্থা রাখা হয় নি। তবে বোট ভাড়া নেবার সময় সংস্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমতি নিয়ে পানীয় নিয়ে ওঠা যাবে।
হাউসবোট নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩৪৭ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পর্যটন বিভাগের মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি জানান এরকম আরো হাউজবোট তৈরী করার পরিকল্পনা রয়েছে আগামীতে। গঙ্গাশ্ৰী এবং জলশ্রী বুকিং করা যাবে এখন থেকেই। নিগমের ওয়েবসাইট বা কাউন্টার থেকে বুকিং করা সম্ভব হবে। বর্তমানে ঘন্টায় ৫০০০ টাকা করে ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে হাউসবোট বুকিংয়ের জন্য। কমপক্ষে তিন ঘন্টার জন্য ভাড়া নেওয়া যাবে সাথে যুক্ত হবে জেটি ভাড়া ৫০০ টাকা এবং জি এস টি ৫ শতাংশ।