দুর্ঘটনায় নিয়ন্ত্রণ আনতে আরও এক ধাপ এগোল প্রশাসন। পুজোর আগে গাড়ির গতিবেগে রাশ টানতে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ সহ একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে রাজ্য জুড়ে। উড়ালপুলের স্বাস্থ্যপরীক্ষার পাশাপাশি যান চলাচল খতিয়ে দেখে গাড়ির গতিবেগ নির্ধারণ করতে দেখা গেছে কলকাতা পুলিশের তরফে। এবার কলকাতার পাশাপাশি হুগলীর জাতীয় ও রাজ্য সড়কে গাড়ির গতিবেগ বেঁধে দিল প্রশাসন। চন্দন নগর পুলিশ কমিশনারেট মারফত এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
মূলত রাস্তার প্রধান ক্রসিংগুলিতে গাড়ির গতিবেগ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৩০-৪০ কিলোমিটার নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, কমিশনারের তরফে এলাকা সংলগ্ন সাতটি থানায় এই নির্দেশিকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
গাড়ির বেপরোয়া তথা অনিয়ন্ত্রিত গতিবেগের ফলে রাজ্য জুড়ে প্রাণহানির চিত্রটি চোখে পড়ার মতো। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে বিগত কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হচ্ছে। দিল্লি রোড সম্প্রসারণের কাজ এখনও শেষ করা হয়নি, ফলে সেখানে ট্র্যাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থাও কার্যত নেই। দূর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়েতে সিগন্যাল ব্যবস্থা থাকলেও অধিকাংশ সময় তা খারাপ থাকে। জিটি রোডের ক্রসিংগুলিতেও প্রায় একই অবস্থা। সিগন্যাল না থাকার কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যা।
দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েই হুগলীর একমাত্র জাতীয় সড়ক। এ ছাড়া দিল্লি রোড, জিটি রোড, অহল্যাবাই রোড সহ কয়েকটি রাজ্য সড়ক রয়েছে। ডানকুনি, কাপাসহাড়িয়া, সিঙ্গুর, গুড়াপ সহ দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের বেশ কিছু রাস্তা দুর্ঘটনাপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কয়েক বছর আগে গুড়াপের এই এক্সপ্রেসওয়েতেই প্রাণ হারিয়েছিলেন লোকশিল্পী কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কেও সিঙ্গুরের এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়েছিল।
একটি বিবৃতিতে চন্দননগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, কমিশনারেট এলাকায় যেখানে জাতীয় ও রাজ্য সড়ক রয়েছে, মুলত সেই সব জায়গার ক্রসিংগুলোতে গাড়ির গতি বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কারণ, এই রাস্তাগুলোর অনেক জায়গাতেই ট্র্যাফিক সিগন্যাল নেই। দুর্ঘটনা এড়াতেই এই সতর্কতা। পরবর্তীকালে পরিকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দেওয়া হবে।