বসন্ত রোগের ঘরোয়া টোটকা

মিঠে হাওয়া এবং কোকিলের কুহুতান জানান দিচ্ছে বসন্তকাল আগত। আর বসন্তকালের আগমনের সাথে সাথে যে জিনিসটিরও আগমন ঘটে তা হলো বসন্ত রোগ। বসন্ত রোগের অন্তর্ভুক্ত রোগগুলির মধ্যে মূলত পক্স এবং হাম জাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে এই সময়ে। ছোঁয়াচে এই রোগের কবলে একবার পড়লে সপ্তাহখানেকের মধ্যে ছুটি নেই। টানা এক থেকে দুই সপ্তাহ ভোগানোর পরেই তারা বিদায় নেয়। পক্স বা চিকেন পক্স প্রচন্ড ছোঁয়াচে একধরণের রোগ। এই রোগটি হয় মূলত ভ্যারিসেলা ভাইরাসের দ্বারা। সাধারণ কোল্ড অ্যান্ড ফ্লু-এর মতোই ছড়াতে থাকে এই রোগ। বলা হয়ে থাকে বসন্ত রোগ মা শীতলার আশীর্বাদ। কিন্তু মায়ের আশীর্বাদই যদি এতো ভয়ঙ্কর হয় তাহলে অভিশাপ আরও কত ভয়ঙ্কর হতে পারে ভাবুন! বলা হয় এই সময় আমিষ খেতে নেইবাইরে বেরোতে নেই। বাড়িতে পুজো দেওয়াও বন্ধ থাকে এই সময়ে। টানা ২১ দিন এই রোগের সাথে যুদ্ধ করে সুস্থ্য হয়ে ওঠার পরই তার আমিষ খাওয়ার বা বাইরে যাওয়ার অনুমতি মেলে।

বর্তমানে এইসব রোগের জন্য নানা প্রকারের ওষুধ আবিষ্কার হলেও মা ঠাকুমার দেওয়া টোটকাই আজও সমানভাবে উপকার দেয়। আজ আমরা হারিয়ে যাওয়া সেইসব টোটকা সম্পর্কে জানবো। এইসব টোটকার অন্তর্গত ছিল নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ। ঠাকুমারা বলতেন, সপ্তাহে অন্তত একবার হলেও নিমপাতা বাটা ও তার সাথে কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে গায়ে মেখে তারপর স্নান করা উচিত। এছাড়াও প্রতিদিন খাবারের তালিকায় তেতো জিনিস রাখা উচিত। বলা হয় চিরতার জল বা কালমেঘ পাতার রস এইসব চর্মরোগ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। বলা হয় নিমপাতায় থাকা অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান শরীরকে বাতাসে উড়তে থাকা এইসব রোগের জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে।

আরও বলা হয়, এই সময় খাবারের তালিকায় রাখা উচিত উদ্ভিজ্জ্য এবং প্রাণীজ প্রোটিন। বেশি পরিমানে সয়াবিন, মাছ, মাংস প্রভৃতি খাবারের তালিকায় রাখলে শরীর ভিতর থেকে মজবুত হয় এবং এর ফলে শরীরে রোগের সাথে লড়াই করার প্রয়োজনীয় শক্তি প্রদান করে। কাঁচাহলুদ ত্বকের ক্ষেত্রে কতটা উপকারী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই কাঁচা হলুদ যদি চিবিয়ে খাওয়া যায় তাহলে হলুদের অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান শরীরকে অনেক রোগের হাত থেকে বাঁচায়। বিশেষ করে পক্স জাতীয় বসন্ত রোগের ক্ষেত্রে হলুদের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...