নারী-পুরুষের জীবনে ভুঁড়ি এক দারুণ সমস্যা। সুদর্শন কিংবা সুদর্শনা হয়েও কোনও লাভ হয় না। ওই একখানি ভুঁড়ি সব রূপলাবণ্যে জল ঢেলে দেয়।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে শরীরের বাড়তি মেদ আমাদের পেটে এসে জমা হয়।এর ফলে হার্টের রোগ, ডায়বিটিস, হাইপার টেনশন ইত্যাদির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। শুধু সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য নয় স্বাস্থ্যের জন্যও মেদ ঝরানো আবশ্যক। একটু চেষ্টা করলেই সেই মেদ ঝরিয়ে ফেলা সম্ভব। কয়েকটা সাধারণ টিপস রইল তাই আপনাদের জন্য যেগুলি জেনে রাখা ভাল। হতেই পারে আজ আপনি স্লিম ট্রিম কিন্তু কাল আপনার চেহারায় ঘটল আমূল পরিবর্তন। তাই আগে থেকেই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকুন।
১) দিনে অন্তত দুই থেকে আড়াই লিটার জল খাওয়া উচিত।
২) নিজের ঘরটি রোজ নিজে মুছুন। ঘর মোছা কিন্তু দারুণ ব্যায়াম।
৩) নিয়মিত হাঁটুন। ধীর গতিতে নয়। দ্রুত গতিতে। হাঁটার সময় পেটের মাসল সক্রিয় হয়। মাসখানেক করলেই ভুঁড়ি কমবে।
৪) শাওয়ার চালিয়ে স্নান না করে বালতিতে জল ভরে বার বার নীচু হয়ে জল নিয়ে গায়ে মাথায় ঢালুন। এটাও একরকমের ব্যায়াম।
৫) প্রতিদিন ২০-২৫ বার পেট ভিতরের দিকে টানুন। আবার আলগা করুন। ধীরে ধীরে সংখ্যা বাড়িয়ে ১০০ অবধি নিয়ে যাবেন। উপকার মিলবে।
৬) দিনে অন্তত ২০-২৫ বার সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করুন। মেঝেতে কার্পেট পেতে কাজটা করবেন। মেদ ঝরবে। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করার সময় পেটের মাসল টানটান রাখবেন।
৭) মেদের সঙ্গে স্ট্রেসের একটা যোগাযোগ আছে। তাই মেদ কমাতে হলে স্ট্রেস কমাতে হবে। স্ট্রেস বেশি হলে শরীরে স্ট্রেস হরমোন বেশি মাত্রায় নির্গত হয়। এতে মেদ বাড়ে।
৮) রোজ সকালে গরম জলে মধু মিশিয়ে খাবেন। মেদ ঝরানোর এ এক সহজ উপায়।
৯) টক দই খেলে তাতে একটু নুন আর অল্প পরিমাণ জিরের গুঁড়ো মিশিয়ে নেবেন। এতেও মেদ ঝরে।
১০) জিম তো আছেই। যারা নিয়মিত জিমে যান তাঁরা বোঝেন যে জিম কতটা উপকারী স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিকের জন্য।
১১) অতিমাত্রায় জাঙ্ক ফুড খাওয়া চলবে না। পাশাপাশি কোল্ড ড্রিঙ্ক-ও বেশি খাওয়া চলবে না।
১২) বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকা উচিত নয়।
১৩) যাঁরা অফিসে অনেক্ষণ বসে কাজ করেন তাঁরা মেরুদণ্ড সোজা করে বসে কাজ করবেন। মাঝে মাঝে সিট ছেড়ে উঠে হেঁটে নেবেন এদিক ওদিক।