বুধবার ভোর থেকেই গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান শুরু হয়ে গেছে। তবে এবারের মকর সংক্রান্তিতে প্রতিবারের মত ঠান্ডা ছিলনা। যদিও ভাবা হয়েছিল ঠান্ডা থাকবে, কিন্তু সংক্রান্তির দিন উষ্ণতার পারদ চড়ে গেল। মনোরম পরিবেশে সংক্রান্তির দিন পুণ্যস্নান করাতে সকলেই খুব খুশি।
ভোর ২.৫০ মিনিট থেকে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান শুরু হয়েছে। চলবে বৃস্পতিবার ভোর রাত পর্যন্ত। শেষ রাত থেকেই লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী পুণ্যলাভের আশায় সাগরে ডুব দিচ্ছেন। প্রায় ৩০-৪০ লাখ পুণ্যার্থী জড়ো হয়েছেন গঙ্গাসাগরে। ওই এলাকা তাই এখন যথেষ্ট জমজমাট। কপিলমুনির আশ্রমে উপচে পড়া ভিড়। বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড় সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে পুণ্যার্থী এসেছেন। বলা যায় গঙ্গাসাগর এখন মিনি ভারত। বহু ভাষাভাষির মানুষের মিলনক্ষেত্র হয়ে উঠেছে বাংলার এই মেলা প্রাঙ্গন। যে কোনও রকম দুর্ঘটনার মোকাবিলা করার জন্য পাঁচ হাজার পুলিশকর্মী, ১২০০ সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবী এবং পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবী সাগরমেলা প্রাঙ্গনে মোতায়েন রয়েছে। রয়েছে হেলিকপ্টার পরিষেবাও। মেলায় নজরদারি চালাচ্ছে একাধিক ড্রোন। রয়েছে স্পিডবোট।
এ বছর সাগরমেলাকে সম্পূর্ণভাবে পরিবেশবান্ধব মেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। শীতে তাপ পোহানোর জন্য কিংবা রান্নার জন্য মেলা প্রাঙ্গনে কাঠ কিংবা কয়লা পোড়ানো সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে হয়েছে প্ৰশাসনের তরফে। সেই উদ্যোগে ৮০% সফল হয়েছে সরকার তা বলাই যায়। যদিও উপযুক্ত বিকল্প না পাওয়া যাওয়ার ফলে হোগলা দিয়েই অস্থায়ী ঘরগুলি বানাতে হচ্ছে। তবে আগুন লাগার ঘটনা এড়াতে ওই হোগলাগুলিতে অগ্নি প্রতিরোধক সামগ্রী মেশানো হয়েছে।
তাপমাত্রার বৃদ্ধি যেন সংক্রান্তির আমেজ কিছুটা হলেও কম করে দিয়েছে। তবে যাঁরা ঠান্ডায় কাবু হয়ে যান, তাঁদের জন্য এই আহবাওয়া মনোরম। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মঙ্গলবার সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২। আগামী দিনে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা আরও বাড়বে| বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত না থাকলেও আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌছতে পারে ১৬-১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেখানে থাকবে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।