কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানা যথেষ্ট জনপ্রিয় শহর তথা পার্শবর্তী অঞ্চলের খুদেদের কাছে। খুদেদেরকে চিড়িয়াখানা ঘোরাতে এসে তাদের বাবা- মায়েরাও ছোট হয়ে যান। তাঁদের ছোটবেলার স্মৃতি উস্কে দিয়ে চিড়িয়াখানা নিজের মাহাত্ম জাহির করে। কিছুদিন আগেই এসেছে একটি অ্যানাকোন্ডা। ভূমিষ্ঠ হয়েছে সিংহ শাবক। এখন আলিপুর চিড়িয়াখানা তাই সরগরম। এর মধ্যেই নতুন পরিকল্পনা।
হলোগ্রাফিক অ্যানিমেশনের মাধ্যমে জঙ্গলের পরিবেশ তৈরী করা হবে। আপনার সামনেই ঘুরে বেড়াবে জন্তু-জানোয়ার, ভেসে আসবে পাখিদের কিচিরমিচির। মনে হবে যেন জঙ্গলে রয়েছেন আপনি। প্রযুক্তির সাহায্যে কৃত্রিম জঙ্গলের পরিবেশ তৈরী করে দর্শকদের চমকে দিতে চলেছে আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। স্টেট জু অথরিটির সদস্য সচিব ভি কে যাদবের কথায়, চিড়িয়াখানায় এনআইসি ঘরে প্রযুক্তির সাহায্যে জঙ্গলের কৃত্রিম পরিবেশ তৈরী করা হবে। চীন, জাপান, দুবাইয়ে এইরকম 'ভার্চুয়াল রিয়েলিটি'-র চল রয়েছে, যেখানে দর্শকরা ঘুরে ঘুরে খাঁচায় পশু-পাখিদের দেখার পাশাপাশি জঙ্গলের রোমহর্ষক অনুভূতি উপলব্ধি করতে পারেন।
চিড়িয়াখানার কর্তারা জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তি ভারতে প্রথম কলকাতার চিড়িয়াখানাতে আসতে চলেছে। কোন সংস্থাকে এই কাজের বরাত দেওয়া হবে, তা নিয়ে কথা চলছে। এর মাধ্যমে সচতনতামূলক বার্তাও দেওয়া যাবে। অ্যানিমেশনের কেরামতিতে মূল ঘরে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে পাখির দল উড়ে যাচ্ছে, সামনে দিয়ে গন্ডার দৌড়ে যেতেও দেখা যাবে। বাঘ-সিংহের গর্জন শোনা যাবে দূর থেকে। গাছের ওপর থেকে দর্শকদের ঘাড়ের ওপর নেমে আসতে পারে অ্যানাকোন্ডা।
বহু সায়েন্স ফিকশন সিনেমায় দেখা যায় এমন অ্যানিমেশনের ব্যবহার। এই নতুন প্রকল্প শুরু হলে দেশের প্রথম ভার্চুয়াল অ্যানিম্যাল পার্কের তকমা পেতে পারে আলিপুর চিড়িয়াখানা। এই শীতে উক্ত প্রকল্পটি চালু হবে কি না তা স্পষ্ট করে কর্তৃপক্ষ না জানালেও জানিয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, প্রকল্পটি চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে দর্শকরা চিড়িয়াখানায় আসার জন্য নতুন আকর্ষণ অনুভব করেন।