শান্তিপুরের দোল উৎসব রাসযাত্রার পর দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ উৎসব। ফাল্গুন পূর্ণিমার পরদিন প্রতিপদ, পাঁচ দিন পরে পঞ্চম দোল, সাত দিন পরে সপ্তম দোল এবং রাম নবমীতেও এখানে দোল খেলা হয় নদীয়ার অন্যতম এই কৃষ্ণভূমে। প্রতিপদেও হয় দোল খেলা। দোলের সন্ধ্যায় হয় চাঁচর অনুষ্ঠান।
বিগ্রহবাড়ির দোল, মন্দিরের দোল এবং বারোয়ারির দোল- এই তিন ধারা মিলে শান্তিপুরের দোল।
শান্তিপুরে প্রাচীন শ্যামচাঁদ ও গোকুলচাঁদের মন্দিরের দোল ভক্তদের বড় টান। গোকুলচাঁদের মন্দিরে দোলের দিন দেবতাকে আবির দেওয়ার সুযোগ পান ভক্তরা। শ্যামচাঁদের দোল হয় পূর্ণিমার পরের দিন প্রতিপদে। সে দিন অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ পুজো। ভোগ, নামসংকীর্তন মাতেন স্থানীয় মানুষরা।
সন্ধ্যায় শ্যামচাঁদ আলোকসজ্জা-সহ শোভাযাত্রায় নগর পরিক্রমা করেন। শোভাযাত্রা যায় ওড়িয়া গোস্বামীবাড়িতে, সেখানে হয় ডালিধরা উৎসব। সমস্ত বারোয়ারি পুজোও এখানে গিয়ে ডালি নিবেদন করে। বারোয়ারি দোলের মধ্যে চৌগাচা পাড়ায় আছেন বড় গোপাল। বিগ্রহবাড়িগুলির মধ্যে অন্যতম বড় গোস্বামীবাড়ির দোল।
সমস্ত বারোয়ারি পুজোও ওড়িয়া গোস্বামীবাড়িতে ডালি নিবেদন করেন। ডালিতে থাকে পাঁচ রকমের ফল, পৈতে ইত্যাদি। সমস্ত বারোয়ারি পুজোর বিগ্রহগুলিকে শোভাযাত্রা করে ওড়িয়া গোস্বামীবাড়ির সামনে নিয়ে আসা হয়। এটা একটা প্রচলিত রীতি।
প্রাচীন বিগ্রহবাড়িগুলির মধ্যে অন্যতম বড়গোস্বামীবাড়ির দোল। পূর্ণিমায় হয় রাধারমণ ও শ্রীমতীর দোল। শান্তিপুরের দোল চলতে রামনবমী অবধি।
দোলের পাঁচদিন পর পঞ্চমদোলে বড় গোস্বামী বাড়িতে মদনমোহন-শ্রীমতি দোল হয়। একই নিয়ম মেনে।