ভেজিটেরিয়ান’ ও ‘ভেগান’দের মধ্যে কী তফাৎ জানেন?

কথায় আছে না, মাছে ভাতে বাঙালি। তাই খাবারের পাতে মাছ কিংবা মাংস ছাড়া চলে না খাদ্যরসিক বাঙালির। তবে বাঙালি আমিষ না ছাড়লেও সারা বিশ্বে বেড়েই চলেছে ভেগান ও নিরামিষাশীদের জনসংখ্যা। যদিও ‘ভেজিটেরিয়ান’ ও ‘ভেগান’দের মধ্যে রয়েছে একটা বড় পার্থক্য। নিরামিষভোজী মানুষ মাংস, ডিম বা অন্যান্য প্রাণীজ পণ্য খায় না। অন্যদিকে, ‘ভেগান’রা এমন নিরামিষভোজী যারা প্রাণীজ পণ্যের পাশাপাশি দুগ্ধজাত দ্রব্য যেমন দুধ, পনির, দই,  ইত্যাদি খায় না। আর এই ভেগানরা প্রতি বছর ১ নভেম্বর 'আন্তর্জাতিক ভেগান দিবস' পালন করেন। বিগত ২৮ বছর ধরে প্রতি বছরেই এই উৎসব পালন করা হয়। তবে উৎসব পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল দুগ্ধজাত এবং প্রাণীজ পণ্য বাদ দিয়ে সবুজ শাক-সবজি থেকে উৎপন্ন খাদ্য খাওয়ার জন্য উৎসাহ দেওয়া বা মানুষকে নিরামিষাশী জীবনধারা গ্রহণ করার উপকারিতা সম্পর্কে সকলকে বার্তা দেওয়া। ভেগানদের মতে, নিরামিষাশী জীবনধারা মানুষের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং নিরামিষ খাবার গ্ৰহন করলে পরিবেশ অন্য প্রাণীরাও সুরক্ষিত থাকে।

আদিকালে মানুষ আমিষ খাবার খেত। কিন্তু নিরামিষ খাবারের প্রচলন হয় ৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের পর থেকে। বিশেষ করে নিরামিষ খাবার ও এর উপকারিতা সম্পর্কে হিন্দুধর্মের বহু প্রাচীন গ্ৰন্থেও উল্লেখ রয়েছে। প্রাচীনকালে হিন্দুরা সমাজে নিরামিষ আহারের প্রচলন ছিল। আজকের ভেগানদের সঙ্গে সেই সময়ের ভারতীয় হিন্দুদের অনেক মিল রয়েছে। তবে আধুনিক সময় যে ভেগান দিবস পালন করা শুরু হয়েছিলেন ১৯৯৪ সালে ব্রিটেনের তৎকালীন ভেগান সোসাইটির চেয়ারপারসন লুইস ওয়ালিস। তারপর থেকে প্রতি বছর এই দিন ভেগান দিবস উপলক্ষে পালন করা হয়।

ইংল্যান্ডের পাশাপাশি আজকের দিনে পৃথিবীর বহু দেশ আন্তর্জাতিক ভেগান দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনে প্রতি বছর ভেগান অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা সংগঠিত এই অনুষ্ঠান বার্লিন, কোলন বা হামবুর্গের মতো প্রধান জার্মান শহরগুলিতে অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানে উপস্থিত হন সব দেশে ও বিদেশের বহু ভেগানরা সামিল হন এই শহরগুলোতে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...