এতভাবি কলিকালে প্রথম সন্ধ্যায়
অবতীর্ণ হইলা কৃষ্ণ আপনি নদীয়ায়।।
চৈতন্য সিংহের নবদ্বীপে অবতার।
সিংহগ্রীব সিঙ্গহবীর্য সিংহের হুঙ্কার।।
চৈতন্য সিংহ বলা হলেও জগৎকে প্রেম ধর্মে শিক্ষা দিতেই তাঁর ধরায় আগমন। তাঁর প্রেম নামে ভেসে গিয়েছিল বাংলা। কৃষ্ণের কাছে প্রেমময় আত্মনিবেদনের মধ্যে লুকিয়ে ছিল সর্ব জীবে প্রেমদানের বাণীও। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে কাছে টেনে নেওয়ার পাঠ দিয়েছিলেন তিনি। সে বাণীর ক্ষয় লয় নেই। আজও তাই মহাপ্রভু দর্শনে আকুল হয়ে নবদ্বীপ ধামে ছুটে আসে গোটা দুনিয়ার ভক্তকুল। কৃষ্ণ নামে মেতে ওঠে চৈতন্য ক্ষেত্র।
নবদ্বীপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈষ্ণব ক্ষেত্র সোনার গৌরাঙ্গ মন্দির। শ্রীবাস অঙ্গন এবং শ্রী সমাজ বারি আশ্রমের কাছেই অবস্থিত। দেবালয়ের দোতলার গর্ভ গৃহে রুপোর সিংহাসনে আসীন সোনার গৌরঙ্গ। তাঁর নামেই এই মন্দিরের নামকরণ।
অষ্টধাতুর মূর্তি দেখে ভাবে বিভোর হয় ভক্তরা। কুঞ্চিত কেশদাম। মস্তকে স্বর্ণমুকুট। সোনার কণ্ঠ হার আর ফুল সাজে প্রতিদিন সেজে ওঠেন তিনি। অনেকে বলেন এখানে রাখা আছে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর পাদুকা। প্রচলিত মত, অষ্ট ধাতুর মূর্তিতে সোনার আধিক্য থাকায় গৌরাঙ্গকে ‘সোনার গৌরাঙ্গ’ বলা হয়।
এই প্রাচীন মূর্তিটি নির্মাণ করেছিলেন শান্তিপুরের শিল্পী ব্রজদুলাল দাস। নিত্যানন্দ প্রভুর বংশধর প্রয়াত শীল প্রতাপ চন্দ্র গোস্বামী সোনার গৌরাঙ্গ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা। দোল পূর্ণিমায় উৎসব হয়। এছাড়া রাধাষ্টমী, ঝুলন, রাস উৎসবে মেতে উঠে মন্দির।