কর্ণী মাতার মন্দির

রাজস্থানকে বাঙালি চিনেছে সত্যজিৎ রায়ের দৌলতে। কেল্লা-দুর্গ, মরুভূমি-উট সব মিলিয়ে রাজস্থান বাঙালির স্মৃতিতে চিরবিদ্যমান। তবে মরুভূমির রাজ্যে কিন্তু মন্দিরের অভাব নেই। সেই রাজ্যের এক বিচিত্র মন্দিরের কথা আজ বলব। কর্ণী মাতার মন্দির, প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, কর্ণী মাতা, দেবী দুর্গা, মা ভগবতী এবং মা জগদম্বার অবতার। মাতার মন্দিরের গর্ভগৃহ বা গুহাকে কেন্দ্রে রেখে কর্ণী মাতার মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন বিকানীর রাজ গঙ্গা সিং। তবে গোটা পৃথিবীর কাছে আজ এই মন্দির ইঁদুর মন্দির নামেই পরিচিত এবং বিখ্যাতও বটে।

কর্ণী মাতার দেশনকের মন্দির আজ ইঁদুরদের স্বর্গরাজ্য। এখানে খুব কম হলেও হাজার পঁচিশকে ইঁদুর ঘোরা ফেরা করে। মন্দির প্রাঙ্গণই তাদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র। এই মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়াও খুব চিন্তার বিষয়। কারণ ভক্তদের পায়ে চাপে কোন ইঁদুর মারা গেলেই, ভক্তকে মৃত ইঁদুরের সমান ওজনের সোনা অথবা রুপোর ইঁদুর তৈরি করে দিতে হয়। সেই কারণেই ভক্তরা অতি সাবধানে এবং সন্তর্পণে মন্দিরের ভেতর হাঁটা চলা করেন। দেবী কর্ণী মাতার মন্দির এক অলৌকিক শক্তির অনন্য সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই মন্দিরে ভক্তরা দীর্ঘকাল ধরে ইঁদুরদের উচ্ছিষ্ট খাদ্যকেই প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করছেন কিন্তু তার পরেও, আজ অবধি কোন ভক্তই ইঁদুর বাহিত কোন রোগে আক্রান্ত হননি।

এই মন্দিরে কর্ণী মাতার পরেই, অন্যতম আকর্ষণ হল হাজার হাজার ইঁদুর। পশ্চিম রাজস্থানের লোকগাথায় লুকিয়ে রয়েছে এই ইঁদুরের রহস্য। রক্তমাংসের মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে এলেও, আজ কর্ণী মাতা রাজস্থানের সব থেকে প্রভাবশালী দেবী। বিকানীর শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে তার মন্দির অবস্থিত। কে এই কর্ণী মাতা? রাজস্থানের থর মরুভূমির সুয়াপ গ্রামের চারণ সম্প্রদায়ে, ১৩৮৭ সালে এক শিশু কন্যার জন্ম হয়েছিল। তার নাম ছিল ঋদ্ধি বৈষ্য। ঋদ্ধি ছিলেন বাবা মেহাজি কিনিয়া ও মা দেবল দেবীর ষষ্ঠ কন্যা। পরপর কন্যা সন্তান হওয়ায় ঋদ্ধির কাকিমা রাগে ছোট্ট ঋদ্ধিকে কোলে নিতে চাননি। মুহূর্তের মধ্যেই ঋদ্ধির কাকিমার দুই হাতের পাতা জুড়ে গিয়েছিল। অনেক চেষ্টা করেও দুটি হাতকে আলাদা করা যায়নি। এরপর হঠাৎই কাকিমার গায়ে লেগেছিল ঋদ্ধির পা। বিস্ময়করভাবে কাকিমার জুড়ে থাকা হাত দুটি তৎক্ষণাৎ পৃথক হয়ে গিয়েছিল। সেইদিনই সবাই বুঝেতে পেরেছিলেন, ঋদ্ধির মধ্যে এমন কোন ক্ষমতা রয়েছে। যা অসীম, অলৌকিক।

ছোটবেলা থেকেই ঋদ্ধি ছিলেন মা দুর্গা, মা কালী ও দেবী চামুন্ডার প্রম ভক্ত। দেবীদের পুজো নিয়ে তার সময় কাটাত। ঋদ্ধির বাড়িতে একদা প্রচুর উট, গরু ও ভেড়া ছিল। খাবারের জন্যে ঘাস ও পানীয় জলের খোঁজে পশুগুলিকে নিয়ে কিশোরী ঋদ্ধি মরুভূমির প্রান্তে প্রান্তে খুঁজে বেড়াত। একদিন এক অলৌকিক ঘটনা ঘটল। গ্রাম থেকে হারিয়ে গেল একটি শিশু। সারাদিন খুঁজেও, গ্রামবাসীরা সন্ধান পেলে না। বিকেল ঋদ্ধির পঞ্চাশটি উট ছুটছে বালির প্রান্তরের মধ্যে দিয়ে। একটি উটের পিঠে স্বয়ং ঋদ্ধি বাঈ।

কিছু দূর যাওয়ার পরেই উটগুলিকে যেন কিছু বলেছিলেন ঋদ্ধি। তার কথা শুনেই বিভিন্ন দিকে ছুটে গিয়েছিল পঞ্চাশটি উট। সন্ধ্যার সুয়াপ গ্রাম হঠাৎ করেই শুনতে পেল অজস্র উটের পদধ্বনি। মশাল নিয়ে গ্রামবাসীরা ছুটলেন মরুভূমির দিকে। তাঁরা যে দৃশ্য দেখলেন তা দেখেই গ্রামবাসীরা সকলেই অবাক গ্রামের দিকে ঝড়ের গতিতে ছুটে আসছে ঋদ্ধির উটের যদল। একটি সওয়াড় ঋদ্ধি, হাওয়ায় তাঁর লম্বা চুল উড়ছে। ঋদ্ধির কোলে হারিয়ে যাওয়া শিশুটি।

সে সময় মেয়েদের অনেক অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যেত। পাঁচটি বোনের বিয়ে হয়ে গেলেও, ঋদ্ধি বাঈকে বিয়েতে কেউ রাজি করাতে পারেনি। গ্রামে একঘরে করে দেওয়া হয়েছিল তাদের। অগত্যা পরিবারের সামাজিক মর্যাদা বাঁচাতে, ১৪১৬ সালে বিয়েতে সম্মতি দিয়েছিলেন সাতাশ বছরের ঋদ্ধি। সাথিকা গ্রামের দেপাজী রোহাদিয়ার সঙ্গে তার বিবাহ হল। বিয়ের রাতেই স্বামী দেপাজীকে ঋদ্ধি বলেছিলেন, বিয়ে করলেও স্বামীর সঙ্গে তার কোন শারীরীক সম্পর্ক থাকবে না। ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন দেপাজী। স্বামীকে আশ্বস্ত করেছিলেন ঋদ্ধি। অবিবাহিতা ছোট বোন গুলাব বাঈয়ের সঙ্গে স্বামীর বিয়ে দিয়েছিলেন। আর নিজে বেছে নিয়েছিলেন সন্ন্যাসিনীর জীবন। যৌতুক হিসেবে বাবার দেওয়া উট, ভেড়া, গরুদের দেখভাল করেই দিন কেটে যেত তার। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির গ্রামে তা নিয়ে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছিল। জল সংকটের আশঙ্কায় ঋদ্ধির পশুগুলিকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ফন্দি এঁটেছিল গ্রামবাসীরা। একদিন সবার সামনে এই পশুদের নিয়ে তাকে চরম অপমান করা হয়েছিল। পরদিনই পশুগুলিকে সঙ্গে নিয়ে সাথিকা গ্রাম ত্যাগ করেন ঋদ্ধি।

পশুগুলিকে সঙ্গে নিয়েই যাযাবরের মত গ্রামে গ্রামে ঘুরে শক্তিদেবীদের মাহাত্ম্য প্রচার করতেন। খোলা আকাশের নীচেই রাত কাটত তার। ক্রমেই তার ভক্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ঘাগরা চোলি পরা, মাথায় জটা, হাতে ত্রিশুলধারী এক সন্ন্যাসিনীর কথা ছড়িয়ে পড়ল গোটা রাজস্থানে। এক রাতে চল্লিশ-পঞ্চাশ ক্রোশ পথ পেরিয়ে অলৌকিক ক্ষমতাবলে পশুদের জন্যে রুক্ষ মরুভূমিতেও খুঁজে নেন জল ও ঘাস। নিজে দুধ ছাড়া অন্য কোনও খাবার গ্রহণ করেন না।

এইভাবেই কয়েক বছর কাটে, থর মরুভূমির বিভিন্ন গ্রামে ধর্ম প্রচার করার পর ঋদ্ধি জাঙ্গলু নামক এক এলাকায় এসে হাজির হন। রাঠোর রাজা রাও কানহা, মারওয়াড় চালাচ্ছেন। দাদা রাও রণমলকে ঠকিয়ে সিংহাসনে জাঁকিয়ে বসেছেন। ঋদ্ধির সঙ্গে ছিল কয়েকশো শিষ্য-শিষ্যা, অসংখ্য উট, গরু ও ভেড়া। জাঙ্গলুর কোন জলাশয় তীরে তাদের জল নেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিলেন অত্যাচারী রাজা 'রাও কানহা'।

হাতের ত্রিশুল মাটিতে পুঁতে ক্ষুব্ধ ঋদ্ধি বলেছিলেন, ধর্মে সইবে না এই অন্যায়। কয়েক বছরের মধ্যেই রাজা হবেন নির্বাসনে থাকা রাও রণমল। দল নিয়ে অগ্রসর হলেন। অসংখ্য পুকুর ও সবুজ ঘাসে ঘেরা এক নাম বিহীন জায়গাতে পৌঁছলেন। ১৪১৯ সালে স্থায়ীভাবে ডেরা তৈরি করলেন। একটি পাথরের গুহাকে জপতপ আরম্ভ করলেন। গুহাটিকে ঘিরে তার অনুগামীরা গ্রাম গড়ে তুলল, সেই গ্রামই দেশনক গ্রাম।

অপর দিকে ফলে গেল ঋদ্ধির ভবিষ্যতবাণী। আকস্মিকভাবে রাও কানহার মৃত্যুর পর, সিংহাসন ফিরে পেয়েছিলেন রাও রণমল। তিনি হয়ে উঠেছিলেন ঋদ্ধির অন্যতম প্রিয় শিষ্য। এই ঘটনার পরেই ঋদ্ধি বাঈয়ের নাম হয় 'কর্ণী' মাতা। ছড়িয়ে পড়ে, মাতা যা বলেন, তা-ই করেন।

রাও রণমলের ছেলে রাও যোধা, ১৪৩৯ সালে সিংহাসনে বসেন। বিপুল অর্থ খরচ করে তিনি গড়ে তুলেছিলেন যোধপুর শহর। রাও যোধাও ছিলেন কর্ণী মাতার শিষ্য। তাঁর আশীর্বাদ নিয়েই ১৪৫৩ সাল থেকে একে একে আজমের, মের্তা ও মান্দোর দখল করেছিলেন রাও যোধা। ১৪৫৭ সালে রাও যোধা মেহেরগড় দুর্গ তৈরির কাজ আরম্ভ করেছিলেন। এই মেহেরগড় দূর্গের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য দেশনক থেকে যোধপুর এসেছিলেন কর্ণী মাতা।

রাজা যোধার পঞ্চম পুত্র রাও বিকা, ১৪৬৫ সালে বাবার প্রতি অভিমানে, ৫০০ রাঠোর পদাতিক সেনা ও ১০০ অশ্বারোহী নিয়ে যোধপুর ছেড়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন কাকা রাওয়াত কান্ধাল। রহস্যময়ী কর্ণীমাতার আশীর্বাদে জংলাদেশ নামক এক বন্ধ্যা এলাকায় গড়ে তুলেছিলেন নিজের রাজত্ব। ১৪৭২ সালে রাতি ঘাঁটি নামের একটি দুর্গ তৈরি করেছিলেন রাও বিকা। এটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন ৮১ বছরের কর্ণী মাতা।

রাও বিকার উত্থান ভাটি রাজপুত রাজাদের চিন্তায় ফেলেছিল। কারণ রাঠোর ও ভাটিরা পরস্পরের জাত শত্রু। দুই রাজপুত সম্প্রদায়ের মধ্যে যুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার উপক্রম হলে, উভয়পক্ষের মাঝে কর্ণী মাতা ঢাল হয়ে দাঁড়ান। ১৪৭২ সালে রাঠোর রাও বিকার সঙ্গে পুঙ্গালের ভাটি রাজপুত রাজা রাও শেখার কন্যা রঙ কুনওয়ারের বিয়ে দিয়ে, রাঠোর ও ভাটি রাজপুতদের শত্রুতার অবসান ঘটান মাতা। রাঠোর রাজপুত ও ভাটি রাজপুতদের কূলদেবী হয়ে গিয়েছিলেন কর্ণী মাতা। যোধপুর ও বিকানীর রাজ পরিবারসহ সমগ্র পশ্চিম রাজস্থানের আরাধ্যা দেবী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কর্ণী মাতারই আশীর্বাদ নিয়ে রাও বিকা বিকানীর শহর গড়েছিলেন।

এভাবেই দেবীতে রূপান্তরিত হয়েছিলেন কর্ণী মাতা। ১৪৭২ সালে তাঁর জীবদ্দশাতেই মাথানিয়া গ্রামে দেবী কর্ণী মাতার মন্দির গড়ে তুলেছিলেন শিষ্য অমরজী বাপজী চারণ। মন্দিরের গর্ভগৃহে কর্ণী মাতার পাদুকা স্থাপন করেছিলেন। আজও সেই মন্দিরে কর্ণী মাতার পাদুকা পূজিত হচ্ছে।

১৫৩৮ সালের ২১ মার্চ, জয়সলমীরের মহারাজার সঙ্গে দেখা করে দেশনকে ফিরছিলেন কর্ণী মাতা। বোন গুলাব বাঈয়ের চারপুত্র ও কয়েকশো শিষ্য শিষ্যা সঙ্গেই ছিল। বিকানীরের কোলায়াত তহশিলের গাদিয়ালা ও গিরিরাজসরের মাঝামাঝি কোন জায়গায় এক জলাশয়ে কর্ণী মাতার শিষ্য শিষ্যারা পান খেতে গিয়েছিলেন। উটের ওপর একা বসেছিলেন কর্ণী মাতা। কিছুক্ষণ পরে, শিষ্য শিষ্যারা ফিরে এসে অবাক, কর্ণী মাতার উট দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু উটের পিঠে কর্ণী মাতা নেই। আশেপাশের বালিতে তার পায়ের ছাপ নেই। শিষ্য শিষ্যারা গোটা এলাকা খুঁজেও কর্ণী মাতার হদিশ পাননি। মরুভূমির বুকেই চিরতরে হারিয়ে গিয়েছিলেন ১৫১ বছর বয়সের কর্ণী মাতা।

দেশনক গ্রামের যে গুহায় মা কর্ণী তপস্যা করতেন, সেই গুহাটিকেই মায়ের মন্দির বানিয়ে ফেলে ভক্তের দল। মন্দিরের গর্ভগৃহে কর্ণী মাতার বিগ্রহ স্থাপন করা হয়। আড়াই ফুট উচ্চতার মাতৃমূর্তির মাথায় মুকুট, গলায় রত্নহার। পায়ের নিচে মহিষের মুণ্ড। এক হাতে ত্রিশুল ও অপর হাতে নরমুণ্ড। পরনে ঘাগরা ও ওড়না।

রাজপুত ও চারণ সম্প্রদায়ের মানুষেরা শক্তি ও বিজয়ের দেবী হিসেবে কর্ণীমাতার পুজো করতে শুরু করেছিলেন। স্থলে যাঁর বাহন সিংহ, আকাশে ঈগল। একদিন ঋদ্ধি বাঈ হয়ে গিয়েছিলেন হিংলাজ মাতা, দেবী দুর্গা, মা ভগবতী ও মা জগদম্বার সাক্ষাৎ অবতার।

এবার ইঁদুরের কথায় আসি। স্বামী দেপাজীর মৃত্যুর পর কর্ণী মাতার বোন গুলাব বাঈ, তার চার নাবালক ছেলেকে নিয়ে দিদির কাছে দেশনকে মা কর্ণীর আশ্রমেই থাকতে শুরু করেন। একবার গুলাব বাঈয়ের বড় ছেলে লাখন কোলায়াতের কার্তিক মেলায় গিয়েছিলেন। পুজো দেওয়ার আগে কপিল সরোবরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়েছিলেন কিশোর লাখন।

লাখনের দেহ নিয়ে দেশনকে ফিরেছিল বন্ধুরা। মৃত লাখনের দেহ কোলে তুলে, নিজের ঘরে চলে গিয়েছিলেন কর্ণী মাতা। বন্ধ করে দিয়েছিলেন ঘরের দরজা। আট ঘণ্টা পর জীবিত লাখনকে সঙ্গে নিয়ে বাইরে এসেছিলেন। লোকগাথা থেকে জানা যায়, স্বয়ং ধর্মরাজ ও কর্ণী মাতার মধ্যে লড়াই চলছিল। কর্ণী মাতার যুক্তিতে তুষ্ট হয়ে ধর্মরাজ লাখনের প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।

ধর্মরাজ কর্ণী মাতাকে আশীর্বাদ করে বলেছিলেন, সমগ্র রাজস্থানে শক্তির দেবী হিসেবে কর্ণী মাতা পূজিত হবেন। তাঁর বোনের চার ছেলে ও শিষ্য শিষ্যারা মৃত্যুর পর মুষিক অর্থাৎ ইঁদুর হয়ে পুনর্জন্ম লাভ করবে। এই ইঁদুররাই দেবী কর্ণী মাতার মন্দিরের প্রহরার দায়িত্বে থাকবে। কর্ণী মাতার দেশনকের মন্দিরে থাকা পঁচিশ হাজার ইঁদুরকে পবিত্র আত্মা বলে মনে করেন ভক্তরা। ইঁদুরদের বিভিন্ন শস্য, দুধ, নারকেল ও মিষ্টি খাওয়ান। সহস্র ইঁদুরের ভিড়েও ভক্তরা পাঁচটি সাদা ইঁদুরকে খুঁজে বেড়ায়। কারণ ভক্তরা মনে করেন, এই পাঁচটি সাদা ইঁদুর হল গুলাব বাঈয়ের চার ছেলে ও স্বয়ং কর্ণী মাতা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় করে, এই পাঁচটি সাদা ইঁদুরকে খুঁজে বের করে, এক জায়গায় আনার চেষ্টা করেন ভক্তরা। কারণ ভক্তদের বিশ্বাস, এক পাত্র থেকে পাঁচটি সাদা ইঁদুরকে দুধ খাওয়ালে, পুণ্য অর্জন হবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...