দশমহাবিদ্যার অন্যতম দেবী মহাকালী। কালিকা , কালরাত্রি হিসেবেও তাঁকে বর্ণনা করা হয়েছে। ষোড়শ শতাব্দীতে কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ তান্ত্রিক মতে দেবী কালিকার মূর্তি রচনা করেন।
কলকাতার নামের সঙ্গেই জুড়ে আছে কালীর নাম। কালী কলকাত্তাওয়ালী। তামাম ভারত কলকাতাকে চেনে ‘কালী মা’কে দিয়ে। এই শহরের আনাচকানাচ জুড়ে যেভাবে কালী মন্দির দেখা যায়, অন্য শহরে তেমন দৃশ্য বিরল। মন্দিরের ইতিহাস থাকল এই নিবন্ধে।
কালীঘাট- একান্ন পীঠের অন্যতম এক পীঠ। কথিত আছে দেবী সতীর ডান পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠী আছে এই মন্দিরের গর্ভ গৃহে। ভৈরব স্বয়ং নকুলেশ নামে বিরাজমান।
কালীঘাটের আদি মন্দির ছিল হুগলী নদীর তীরে। যশোরের রাজা কৃষ্ণ রায় আদি মন্দির স্থাপন করেন। পরবর্তী সময়ে সাবর্ণ পরিবার ৫৯৫ বিঘা জমি দান করেন। ১৮০৯ সালে নতুন মন্দির তৈরি হয়।
দক্ষিণেশ্বর- কলকাতার কাছেই হুগলী নদীর পূর্ব তীরে রাণী রাসমনি এই মন্দির স্থাপন করেন ১৮৫৫ সালে। দেবী বিগ্রহ পরিচিত ভবতারিনী নামে। দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দির অন্য পরিচিত শ্রীরামকৃষ্ণ তীর্থ হিসেবে। মন্দিরের উত্তর-দক্ষিণে আটচালার ধাঁচে তৈরি মহাদেবের বারোটি লিঙ্গ মন্দির আছে।
ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি- কলেজ স্ট্রিটের নিকটস্থ এই মন্দিরে দেবী কালিকা পরিচিত ‘সিদ্ধেশ্বরী’ নামে। ১৮০৩ সালে শঙ্কর ঘোষ প্রতিষ্ঠা করেন। দেবীর অভয়া রূপা মূর্তি প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো।
ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি- কলকাতার বৌবাজার এলাকায়। বিপিন বিহারী গাঙ্গুলী স্ট্রিটে। প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন ফিরিঙ্গি কালী বাড়ি। অ্যান্টনি কবিয়ালের নামে। অ্যান্টনি ছিলেন জাতিতে ইউরোপিয়। পরে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন।
লেককালীবাড়ি- দক্ষিণ কলকাতার সার্দান অ্যাভিনিউতে। করুনাময়ী কালীর মন্দির। ১৯৪৯ সালে হরিপদ চক্রবর্তী এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।