গত সপ্তাহে মনিপুর আর ইম্ফলের সাথে সাক্ষাৎ হয় ইতিহাসের, সাথে ছিল ভয়ের আবহ। মনে হতেই পারে এই সময় দাঁড়িয়ে ইতিহাসের সাথে ভয়ের সংযোগ কোথায়? আছে- আজ সেই কথাই জানাবো।
মায়ানমার সীমান্তের ছোট্ট শহর মোরের লাংনং ভেং অঞ্চলে চলছিল একটি বাড়ি নির্মাণের কাজ। কিন্তু মাটির আস্তরণ সরতেই বেরিয়ে এল অকল্পনীয় ঐতিহাসিক দ্রব্য। কয়েকটি তাজা বোমা। স্বাভাবিকভাবেই, আকস্মিক এই বোমা উদ্ধারে ছড়ায় আতঙ্ক। ভাবতেই পারেন, বোমার সাথে ইতিহাসের সম্পর্ক কোথায়? আছে-
নির্মাণ কাজ বন্ধ করে বোম-স্কোয়াডের কর্মীরা নিষ্ক্রিয় করেন বোমাগুলি। আর সেখানেই জানা যায় এই সক্রিয় বোমাগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের। কিন্তু কোনোভাবে বিস্ফোরিত হয়নি বোমাগুলি। এমন আরও অবিস্ফোরিত সক্রিয় বোমার সন্ধানে সমগ্র অঞ্চল খুঁড়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সব মিলিয়ে পাওয়া যায় ২৭টি অবিস্ফোরিত বোমা, ৪৩টি বোমার ফাঁকা শেল, ১৫টি ফাঁকা বাক্স।
তবে শুধু মণিপুর নয় তার ঠিক দু’দিন আগেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ৬টি বোমার হদিশ পাওয়া গেছে ইম্ফলের হাট্টায়। বিস্ফোরণ নাহলেও তারাও কিন্তু ছিল সক্রিয় অবস্থাতে। সেখানেও তথ্যানুসন্ধানের কাজ চলছে। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে এমন সক্রিয় বোমার সন্ধান মিলছে। কিন্তু হঠাৎ করে খোদ ইতিহাসের সাক্ষাৎ নিঃসন্দেহে রোমাঞ্চকর।