মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্তিতে ভরপুর। এলোমেলো চুল, দিন কয়েকের বাসি দাড়ি, চোখেমুখে রাত জাগা ক্লান্তি। কিন্তু সোমবার আলিপুর জেলে পা রাখতেই নিমেষে চনমনে হয়ে যায় বড়পর্দার ‘বাঘাযতীন’। যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের পুরনো ছবির পাশে দাঁড়িয়ে পোজ দিতেই সেই ক্লান্তি হাসি ফিরে এল।
এবার ব্যোমকেশ হয়ে উঠেছে ‘বাঘাযতীন’। তিনি আমাদের সবার দেব।
পুজোয় মুক্তি পাচ্ছে তাঁর দেশাত্মবোধক ছবি, ‘বাঘাযতীন’। এদিন আলিপুর জেল সংরক্ষণশালায় মুক্তি পেয়েছে ছবির ট্রেলার।
জেলের যে ঘরে বাঘাযতীন বন্দি ছিলেন সেই ঘরেই প্রথমে যান দেব। অভিনেতার চোখমুখ দেখে দেখা যাচ্ছে এক অবর্ণনীয় প্রশান্তি।
পর পর মুক্তি পাচ্ছে ছবির টিজার, গান, ট্রেলার। দেবভক্তরা অপেক্ষায় রয়েছেন। তাঁদের উন্মাদনার পারদ চড়ছে । রিলিজ দিনের জন্য মুখিয়ে রয়েছে সবাই।
ট্রেলারে দেব স্বাধীনতা সংগ্রামী। প্রথমেই দেখা গিয়েছে, এক বাচ্চা ছেলে তার বাবাকে বলছে, 'আমাকে সেই বাঘের গল্পটা বলো না, আমিও বাঘ মারব বড় হয়ে'। যদিও তাকে তার বাবা (দেব) বলেন, 'প্রাণী হত্যা মহা পাপ'। প্রত্যুত্তরে সেই ছেলেটি বলে, 'তাহলে তুমি যে মেরেছিলে'। তখন সেই বাচ্চাটিকে বোঝানো হয় 'ওটা ভুল করেছিলাম'।
এরপরই দেখা যায় সেই যুবককে যার চোখ, চাহনি তীক্ষ্ণ, অদম্য জেদ যে দেশকে ইংরেজদের হাত থেকে রক্ষা করে। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভয় না পেয়ে রুখে দাঁড়ানোর অসীম সাহস দেখিয়েছিলেন বাংলার যতীন্দ্রনাথ।
দেবের পাশাপাশি নজর কেড়েছেন ‘ক্ষুদিরাম বসু’ সামিউল আলম। ছবির গানে, প্রতিটি দৃশ্যে দেশাত্মবোধের ছোঁয়া রয়েছে একেবারে। বিশেষ করে যখন বাঘের সঙ্গে লড়াই হয়। দক্ষ পরিচালনা ট্রেলারে একেবারে স্পষ্টভাবে ধরা রয়েছে।
দেব অনুরাগীদের দাবি যে ‘গদর ২’-এর মতোই বাংলার বিপ্লবী ‘বাঘাযতীন’, ছবিতে সারা দেশকে মুগ্ধ করবে।