হিন্দুস্থান পল্লী দুর্গাপূজা কমিটি | জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯

এই ক্লাব বা পূজা কমিটির এবারের থিম “পটের প্রচ্ছদে উমা” ।  শুনেই বোঝা যাচ্ছে যে পটচিত্র নিয়েই এই বছর শারদোৎসবের পরিকল্পনা তাদের। বাংলার এই প্রাচীন লোকশিল্পোর ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে অবগত করার জন্য দুর্গা পুজোর থেকে ভাল প্ল্যাটফর্ম আর কিছুই হতে পারে না। তাই এইবছর হিন্দুস্তান পল্লী-র এটাই থিম।

জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠানে উপলক্ষে আমাদের স্টুডিও-এ উপস্থিত ছিলেন পূজা কমিটির সম্পাদক শান্তনু দে, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুনমুন দে ও শিশু প্রতিনিধি হিয়া দে। সঞ্চালক রীয়া-র সাথে তাদের পুজোর বিষয় জানলাম আমরা, আর জানল জিয়ো বংলার দর্শকরা। ১৯৪৬ সালে শুরু হয় তাদের পুজোর পথচলা, মাঝে ১৯৪৭ সালে একটি বছর বন্ধ থাকলেও, ১৯৪৮ সাল থেকে টানা পুজো করে আসছেন এই ক্লাব। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে ৭৩টি বছর। আর বাকি পাঁচটা পূজা কমিটি যখন ব্যাস্ত বিখ্যাত শিল্পীদের দিয়ে থিম তৈরী করা নিয়ে, তখন তাদের পাড়ার এক উঠতি শিল্পী দেবব্রত সিনহা-ই রয়েছেন থিম রুপায়নে।

এখানেই শেষ নয় থিম শিল্পীর পাশাপাশি থিম মিউজিকের দায়িত্বে রয়েছে পাড়ার বাসিন্দারাই, যার মধ্যে বেশি রয়েছে ছোট ছোট শিশুরা। প্যান্ডেলের উচ্চতা প্রায় ১৮ফুট আর চালচিত্র নিয়ে প্রতিমার উচ্চতা প্রায় ১৩ফুট। পুজোর চারটি দিন বাইরের কোনও শিল্পী নয়, পাড়ার লোকেদেরই নিয়েই চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আর বিজয়া উপলক্ষে পূজা কমিটির তরফ থেকে যে ‘বিজয়া সম্মেলনী’-র আয়োজন করা হয় তাতে পাড়ার সকল শিশুরা মিলে একটি নাটক উপস্থাপনা করে। দমদম বা কবি সুভাষ গামী যে কোনও মেট্রোয় উঠে নামতে পারেন মহানায়ক উত্তম কুমার, সেখান থেকে এমআর বাঙুর হাসপাতালের নিকট এই পূজা মন্ডপ।

তবে যারা ট্রেনে আসা যাওয়া করেন তাদের নামতে হবে টালিগঞ্জ ফাঁড়ি স্টেশনে, সেখান থেকে সামান্য হাঁটা পথে পৌঁছে যেতে পারেন এই পূজা মন্ডপে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...