‘জনি জনি, ইয়েস পাপা’ ছড়াটি আমরা শিশুকালে প্রায় সকলেই পড়েছি| প্রয়োজন পড়ে ‘জনি’কেও মিথ্যে কথা বলতেই হয়| অনেক ‘জনি’ আবার আছেন যারা কেউ প্রয়োজনে মিথ্যে বলে বা অকারনেও মিথ্যের আশ্রয় নিয়েই বেঁচে থাকে| মিথ্যে নিয়ে গবেষণা বহু দিন ধরেই চলছে| মানুষ মিথ্যে কেন বলে? কিভাবে শিশুদের মিথ্যে বলার অভ্যেস কমানো যায় এইসব নিয়ে বহুদিন ধরেই নানা গবেষণা চলে আসছে| এবার সেই গবেষণা ফলেই উঠে এলো নানা মজার তথ্য|
প্রথমেই যে তথ্য হাতে এলো তা হলো, পুরুষরা ভাবে তারাই সবথেকে ভালো মিথ্যে বলতে পারে| কিন্তু গবেষণা কি সম্মতি জানাচ্ছে তাদের এই মতামতকে? প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিত্ক কথা বলার ফলে তাদের মুখ দিয়েই সবচেয়ে বেশি মিথ্যে কথা বের হয়, জানালো গবেষণা| সে ছেলে হোক কিংবা মেয়ে| তারা পরিবার, বন্ধুবান্ধব এমনকি নিজের জীবনসঙ্গীর কাছেও মিথ্যে বলে থাকে|
মিথ্যে বলতে অত্যন্ত পটু যারা তারা আবার মুখের উপর সোজাসাপ্টা মিথ্যে বলতেই বেশি পছন্দ করে থাকে| সামনের মানুষের মুখের উপর মিথ্যে বলতেই তারা স্বাচ্ছ্বন্দ্য বোধ করেন তারা| সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট কিংবা টেক্সট ম্যাসেজের মাধ্যমে কথা বলার সময় তাদেরকেই সবথেকে কম মিথ্যে দেখা যায়|
গবেষণাতেও প্রকাশ পেয়েছে পুরুষদের মানসিকতার কথা| জানা গেছে, সত্যিই বেশিরভাগ পুরুষ নিজেদের সেরা মিথ্যেবাদী বলে মনে করে| গবেষণায় দেখা গেছে, লিঙ্গ এবং মিথ্যের মধ্যে এক অদ্ভুত মিল রয়েছে| এর আগে হওয়া গবেষণা জানান দিয়েছিল, সারাদিনে সকল মানুষই একটি থেকে দুটি করে মিথ্যে বলে থাকে| কিন্তু জানা গেছে, এই কথাটি সঠিক নয় কারণ প্রতিটি মানুষ প্রতিদিন মিথ্যে বলে না| কিন্তু কিছু মানুষ রয়েছেন যারা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক মিথ্যে কথা প্রতিদিনই বলে থাকেন| কোনদিন কম তো কোনদিন বেশি| এইধরনের মানুষদের মধ্যে পুরুষদের সংখ্যাই বেশি বলে জানিয়েছে গবেষণা| পুরুষদের মনের কথাকেই পরোক্ষভাবে সমর্থন করলো গবেষণা|