রাজ্যের হেরিটেজ ভবনগুলি হেরিটেজ সার্কিটে নিয়ে আসার উদ্যোগ

রাজ্য সরকার পর্যটনের উন্নতিসাধনে বেশ কিছু পরিকল্পনা নিচ্ছে। রাজ্যের পর্যটনের ক্ষেত্রে যেমন উন্নয়নমূলক কাজ করা হচ্ছে, তেমনি পর্যটন মানচিত্রে নতুন জায়গার ঠাঁই হচ্ছে। এই বিষয়ে আগেও বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করা হয়েছে। এবারে রাজ্যের হেরিটেজ বাসভবনগুলিকে পর্যটনের হেরিটেজ সার্কিটে নিয়ে আসার জন্য পর্যটন দফতর উদ্যোগী হয়েছে।

                      পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বৃহস্পতিবার জানান, রাজ্যের বৌদ্ধ স্তূপগুলিকেও এই হেরিটেজ সার্কিটের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। স্তূপগুলির আশেপাশে সৌন্দর্যায়ন করা হবে। এর পাশাপাশি হেরিটেজ বাসভবনগুলির রূপান্তরের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হেরিটেজ বাসভবনগুলির তালিকা চাওয়া হয়েছে বিভিন্ন জেলা থেকে। হেরিটেজ বাসভবন, যেগুলি হেরিটেজ হোটেলে রূপান্তরযোগ্য এবং যেসব মালিক তাঁদের বাসভবনকে হেরিটেজ হোটেলে রূপান্তরে আগ্রহী, সেই সব ভবনের বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে যদি ঘোড়ার গাড়ি চালানো হয়, তাহলে হেরিটেজ সার্কিটের সঙ্গে সামঞ্জস্য হবে বলে প্রস্তাব এলে পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব তা ভেবে দেখবার আশ্বাস দেন।

                     গৌতমবাবু আরো জানান, ইতিহাস জড়িত বিভিন্ন জায়গা এবং ঐতিহ্যমন্ডিত স্থানগুলির উন্নতিসাধনের পরিকল্পনা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। মুর্শিদাবাদে ওয়াসিফ মঞ্জিলের উন্নতিসাধন করা হচ্ছে, শ্রীরামপুরের ডেনমার্ক ট্যাভার্ন- এর উন্নতিসাধন করা হবে, চন্দননগরে গঙ্গাতীর সংলগ্ন এলাকায় আলোকায়ন করা হচ্ছে, বেলুড়মঠের উন্নয়ন করা হচ্ছে, হুগলির হংসেশ্বরী মন্দিরের উন্নয়ন করা হচ্ছে, মালদহের গৌড়, আদিনা এবং পাণ্ডুয়ার উন্নতিসাধন করা হচ্ছে। এছাড়া কোচবিহার ও নবদ্বীপকে হেরিটেজ শহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি জানান, এভাবেই বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে পর্যটনকে আরও পর্যটকদের মনোগ্রাহী করে তুলতে রাজ্য পর্যটন দফতর কাজ করে চলেছে।

                      

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...