ব্রণ ফুসকুড়ির ভেষজ সমাধান

চলছে বিয়ের সিজন আগামী কালই হয়ত আপনার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু বা বান্ধবীর বিয়ে। অনেকদিন ধরেই আপনি ভেবে রেখেছেন কোন কাপড় পরবেন, কি গয়না পরবেন প্রভৃতি। নিজের সৌন্দর্যের ডালি মেলে ধরার জন্য আপনি একেবারে তৈরী। কিন্তু তাতে বাধ সাধলো একটি জিনিস! সমস্ত সৌন্দর্য্য চাপা দিতে সে যে একাই একশো। কিসের কথা বলছি? কেন? ব্রণ বা ফুসকুড়ির

যে কোনো সময়ে মানুষের ত্বকের উপর আক্রমণ করতে পারে ব্রণ বা ফুসকুড়ির মতো সমস্যা। অনেকসময়েই আমরা বাজার চলতি নানা ক্রিম বা প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি যা পরোক্ষভাবে ত্বকের ক্ষতিসাধন করে থাকে। কিন্তু আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে এমন কিছু ভেষজ জিনিস যা এই ব্রণ বা ফুসকুড়ির ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা পালন করে। চলুন জানা যাক সেই সব ভেষজ ওষুধের কথা

১) ত্বকের প্রশ্ন উঠলেই প্রথমেই যে সামগ্রীর নাম মাথায় আসে তা হলো নিমপাতা। তাই নিমপাতা বাটার সাথে চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে বা শরীরের অন্যান্য জায়গায় লাগিয়ে নিলে ব্রণ বা ফুসকুড়ির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নিমপাতার রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ধর্ম। তাই ব্রণ বা ফুসকুড়ির ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যায়।

২) ব্রণর সমস্যায় পাতিলেবুর রস উপকারী। মুখের যে অংশটি সবচেয়ে বেশি ব্রণ দ্বারা আক্রান্ত সেই জায়গায় ৪ থেকে ৫ মিনিটের জন্য লেবুর  রস লাগিয়ে রাখুন। যতদিন না ব্রণ থেকে নিষ্কৃতি মিলছে ততদিন এই পদ্ধতি অনুসরণ করে গেলে ফল মিলবে হাতেনাতে।

৩) পাকা পেঁপে ও অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য খুব ভালো। পরিমান মতো পাকা পেঁপে, তার সাথে পাতিলেবুর রস প্রয়োজন মতো চালের গুঁড়ো মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। সারা মুখে প্যাকটি লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

৪) ব্রণর সমস্যার জন্য গোলাপ জল উপকারী। প্রতিদিন ত্বকে গোলাপজল ব্যবহার করা গেলে মুক্তি পাওয়া যায় ত্বকের নানা সমস্যা থেকে। দারুচিনি গুঁড়োর সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে ব্রণর উপর লাগিয়ে রাখলে উপকার পাওয়া যায়।

৫) অত্যধিক গরম পড়লে পুদিনা পাতার রস দিয়ে আইস কিউব বানিয়ে রেখে দিন। বাইরের প্রখর তাপ থেকে ঘরে ফিরেই সেই আইস কিউব ব্রণর উপর ঘষতে থাকুন। এর ফলে ব্রণর বাড়বাড়ন্তের সাথে সাথে ত্বকের জ্বালাভাবও কমবে।

৬) এক বাটি জলের মধ্যে ৮ থেকে ১০ টি পান পাতা নিয়ে ফুটিয়ে সেই জল দিয়ে স্নান করলে ত্বকের জ্বালা, ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

তাহলে আজ থেকে ব্রণ, ফুসকুড়ির জন্য ডাক্তার বদ্যি ছেড়ে ভরসা করুন ভেষজ উপাদানের উপরে। কিন্তু খুব বাড়াবাড়ি হয়ে গেলে কখনোই শুধু ভেষজ উপাদানের উপর নির্ভর করে থাকবেন না। তখন অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।  

 

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...