ক্যামেরার সামনে আসার জন্য তাঁর মেকআপের দরকার পড়ে না। শোনা যায় কেরিয়ারের শুরুর দিকে যখন তিনি মেকআপ নিয়ে ক্যামেরার সামনে াসতেন, কোনও কোনও পরিচালক বলতেন মেকআপ তুলে ফেলতে। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এভাবে মেকআপ মুছে ফেলতে তাঁর কোনওদিন দ্বিধা হয়নি। মেকআপ হোক বা, নো মেকআপ সবেতেই তিনি সমান নজরকাড়া।
তিনি স্বপ্ন সুন্দরী। আসমুদ্র হিমাচলের হার্টথ্রব। অথচ এই তাঁকেই একদিন বাদ পড়তে হয়েছিল ছবি থেকে। তাঁর চেহারা তারকাসুলভ নয় বলে। তিনি কিন্তু হাল ছাড়েননি। রুপালী দুনিয়ায় পা রেখেই প্রত্যাখ্যাত নবাগতা থেকে হয়ে উঠেছিলেন লাইমলাইটের চড়া আলোয় থাকা ‘ড্রিমগার্ল’। মাঝে অনেক চড়াই-উৎরাই আর ঘাম-রক্তের কাহিনী। সফল অভিনেত্রী, সফল নৃত্যশিল্পী, সফল রাজনীতিবিদ সবটাই তাঁর পরিশ্রম আর বুদ্ধির ফসল। গ্ল্যামার, স্টারডম আর নিখাদ ভারতীয় সৌন্দর্যে চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়া বলিউডের ‘হেমা, হেমামালিনী।
তামিল আয়েঙ্গার পরিবারে জন্ম। বড় হয়ে ওঠা দক্ষিণ ভারতীয় সংস্কৃতির শিকড়কে সঙ্গে নিয়েই। ছোটবেলা থেকে নাচ ছিল প্যাশন। কিন্তু মেইনস্ট্রিম বলিউডকে নিজের করে নিয়েছিলেন চূড়ান্ত দক্ষতায়।
কেরিয়ার শুরু করেন তামিল ছবি দিয়ে। ১৯৬৫ সালে ‘পাণ্ডব বনবাসম’ ছবির একটি ছোট্ট চরিত্রের মাধ্যমে প্রথম ছবির জগতে প্রবেশ। ১৯৬৮ সালে ‘স্বপ্ন কা সওদাগর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মূল চরিত্রে রুপালি পর্দায় প্রবেশ।
ধীরে ধীরে ‘সোলে’, ‘সীতা ঔর গীতা’, ‘মিরা’, ‘কিনারা’, ‘সন্ন্যাসী’, ‘মেহবুবা’, ‘ড্রিম গার্ল’, ‘প্রেম নগর’, ‘খুশবু’র মতো ছবি দিয়েই হয়ে ওঠেন ‘ড্রিম গার্ল’। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ টানা পাঁচবছর তিনি ছিলেন ‘হাইয়েস্ট পেড অ্যাকট্রেস’। ১৯৭৬-১৯৮৫ পর্যন্ত জিনাত আমনের সঙ্গে যৌথভাবে।
১১ বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পান। ২০০০ সালে পেয়েছেন পদ্মশ্রী সম্মান। আজও তিনি আলাদা ‘সেনসেশন’। তাঁর আভিজাত্য আর কিন্নরী সৌন্দর্যের টানে বারবার মুগ্ধ হন সিনেমাপ্রেমীরা।