সুস্থ মানুষের হৃদযন্ত্র ১ মিনিটে ৭২ বার পাম্প করে বিশুদ্ধ রক্ত কোষে কোষে পৌঁছে দেয়। শারীরিক অসুস্থতা, অতিরিক্ত পরিশ্রম একাধিক কারণে এই স্বাভাবিক ছন্দ বেড়ে বা কমে যেতে পারে। হৃদযন্ত্রের রক্ত বিশুদ্ধকরণের কাজে বদল এলে অন্যান্য শারীরিক ক্রিয়াও ব্যহত হয়। ঝুঁকি বাড়ে হৃদযন্ত্রে। হৃদযন্ত্রের ছন্দ অনিয়মিত হয়ে পড়াকেই ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় অ্যারিদমিয়া (Arrhythmia)।
আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হইয়ে মৃত্যুর ঘটনার পশ্চাতেও অ্যারিদমিয়াকে অন্যতম কারণ বলে মনে করেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা। অ্যারিদমিয়া সমস্যায় অনেকসময়ই উপসর্গ দেখা যায় না। চুপিসাড়ে থাকা ঘাতক হিসেব অ্যারিদমিয়া কম বিপজ্জনক নয়।
হৃদস্পন্দন মিনিটে ৭২ বারের পরিবর্তে ১০০ বার বা তার কাছাকাছি হলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় তাকে বলে ট্র্যাকিঅ্যারিদমিয়া। ৬০ বা তার কম হলে তাকে বলে ব্রাডিঅ্যারিদমিয়া। এই হার যদি ৪০-এর নিচে নেমে যায় তাহলে জীবন সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
একবার হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেলে হৃদযন্ত্রের রিদম ডিজওর্ডারের সমস্যা আরও বাড়ে। অতিরিক্ত কফি, অ্যালকোহল, ধূমপান আরও বাড়িয়ে তোলে বিপদকে।
অ্যারিদমিয়ার লক্ষণ
বুক ধড়ফড়, নিঃশ্বাসের দুর্বলতা, অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, পায়ের পাতা, গোড়ালি ফুলে যাওয়া, ঘুম কম, মনযোগে সমস্যা, শরীরে জল জমা, মাথাঘোরা, ঘাম, মাথা যন্ত্রণা-এই সব সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত যোগাযোগ করুন চিকিৎসকের সঙ্গে।
আনন্দলোক হসপিটালের কার্ডিওলজি বিভাগে অ্যারিদমিয়া সমস্যায় সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত আছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য পাবেন সংস্থার ওয়েবসাইট এবং হেল্পলাইনে।