দমকা কাশি থেকে পায়োরিয়া সব সারাবে বাসক পাতা

হঠাৎ বৃষ্টি হঠাৎ রোদ- সর্দি গর্মি, জ্বর- বদলে যাওয়া আবহাওয়ার সঙ্গে যুঝতে গিয়ে নাকাল হতে হচ্ছে হামেশাই। জ্বরের সঙ্গে যদিও বা লড়াই চালানো যায়, কিন্তু কাশির দমক সামলাতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠে আসার জোগাড়। কাফ, সিরাপ বা ওষুধপত্রও অনেক সময় হার মেনে যায়। কিন্তু ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এক অব্যর্থ দাওয়াই আছে। বহু যুগ ধরে তা সাধারণের মধ্যেও ভীষণ জনপ্রিয়। সেই দাওয়াইয়ের নাম বাসক পাতা। যে কোনও বাজারে পা আয়ুর্বেদিক পাতাপত্র পাওয়া যায় এমন দোকানে পাওয়া যায় এই পাতা।

বাসক পাতার অনেক গুণ। এই নিবন্ধে রইল বাসক পাতার ঔষধি হিসেবে কীভাবে ব্যবহৃত হয় সে সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য 

১. বাসক পাতার ১-২ চামচ রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিলিয়ে খেলে শিশুর সর্দি-কাশির উপকার পাওয়া যায়।

২. এই পাতার রস স্নানের আধ ঘণ্টা আগে মাথায় মাখলে উকুন মরে যায়। এছাড়া আমবাত ও ফোঁড়ার প্রাথমিক অবস্থায় বাসক পাতা বেটে প্রলেপ দিলে ফোলা ও ব্যথা কমে যায়।

৩. বুকে কফ এবং এর জন্য শ্বাসকষ্ট হয় বা কাশি হয় তখন বাসক পাতার রস ১-২ চামচ মধুসহ খেলে কফ সহজে বেরিয়ে আসে।

৪. প্রস্রাবে জ্বালা-যন্ত্রণা থাকলে বাসকের ফুল বেটে ২-৩ চামচ এবং মিছরি মিলিয়ে সরবত করে খেলে এই রোগে উপকার পাওয়া যায়।

৫. জ্বর হলে বা অল্প জ্বর থাকলে বাসকের মূল ৫-১০ গ্রাম ধুয়ে থেঁতো করে ১০০ মিলিলিটার জলে ফুটিয়ে ২৫ মিলিলিটার থাকতে নামিয়ে তা ছেঁকে নিন। এরপর দিনে ২ বার করে খাবেন। তাতে জ্বর এবং কাশি দুটোই চলে যাবে।

৬. বাসকের কচিপাতা ১০-১২টি ও এক টুকরো হলুদ এক সঙ্গে বেটে দাদ বা চুলকানিতে লাগালে কয়েক দিনের মধ্যে তা সেরে যায়।

৭. বাসক পাতা বা ফুলের রস ১-২ চামচ মধু বা চিনিসহ প্রতিদিন খেলে জন্ডিস রেগে উপকার পাওয়া যায়।

৮. পায়োরিয়া বা দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লে ২০টি বাসক পাতা থেঁতো করে ২ কাপ জলে সিদ্ধ করে ১ কাপ থাকতে নামিয়ে উষ্ণ অবস্থায় কুলকুচি করলে এই রোগে উপকার পাওয়া যায়।

৯. যাদের হাঁপানির টান আছে তারা বাসক পাতা শুকনো করে, ওই পাতা চুরুটের মতো পাকিয়ে, তার সাহায্যে ধূমপান করলে শ্বাসকষ্ট প্রশমিত হয়।

১০. যাদের গায়ে ঘামের গন্ধ হয় তারা বাসক পাতার রস গায়ে লাগালে দুর্গন্ধ দূর হবে।

১১. বাসক পাতার রস ও শঙ্খচূর্ণ মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে রঙ ফর্সা হবে।

১২. এক কলস জলে তিন-চারটি বাসক পাতা ফেলে তিন-চার ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পর সেই জল বিশুদ্ধ হয়ে যায়। এরপর ব্যবহার করতে পারেন।

১৩. বাসক পাতার রস নিয়মিত খেলে খিঁচুনি রোগ দূর হয়ে যায়।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...