যত না গরম, তার চেয়ে ঘাম যেন হয় ঢের বেশি- গরম অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন। হঠাৎ দেখলে মনে হবে গোটা শরীর থেকে জল ঝরছে, কিন্তু আসলে ঘাম। এমন ঘাম শরীর জলশূন্যতা তৈরি। প্রচুর জল ও লবণ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
গরমে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে খেয়াল করে জল পান করা উচিত। যখন ঠোঁট, জিভ শুকিয়ে আসবে তখন বুঝতে হবে শরীরে জলের অভাব তৈরি হয়েছে।
গ্রীষ্মে লেবুর জল খুব উপকারী। পাতি লেবুর জল তো বটেই এছাড়া কমলা লেবু, মোসাম্বি লেবু, গন্ধরাজ এবং বাতাবি লেবুও কাজ দেয়। লেবুর রসের ভিটামিন সি সাহায্য করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে শরীরকে। দিনভর হাইড্রেটেড রাখে।
পাতিলেবু, ১০০ গ্রাম পাতি বা কাগজি লেবু থেকে শক্তি পাওয়া যায় ৫২ কিলো ক্যালরি, ৯০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ২০ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন সি ৬৩ মিলিগ্রাম—যা আপেলের ৩২ গুণ এবং আঙুরের দ্বিগুণ। এছাড়া নানা ধরনের ভিটামিন বি, নিয়াসিন ও অন্যান্য খাদ্য উপাদানও লেবুতে থাকে। কাজেই লেবু অবশ্যই দেহের পক্ষে উপকারি ফল।
লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড পাকস্থলীর সোডিয়াম লবণের সঙ্গে বিক্রিয়া করে সোডিয়াম সাইট্রেট নামক একটি যৌগ তৈরি করে। এই যৌগটি ক্ষারধর্মী, যা পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে সেই অ্যাসিডের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে লেবুর জল পান করলে অ্যাসিডিটি- বদহজম ইত্যাদি কমে।
চর্মরোগ, সর্দি-কাশি, মাথার খুশকি, পেটের রোগ, মাড়ির অসুখ, গরমে অস্বস্তি, বাত সহ নানা রোগে লেবু রীতিমতো ওষুধের ভূমিকা গ্রহণ করে।
আন্ত্রিক রোগে শরীরে লবণ জলের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ওরাল রিহাইড্রেশন ফ্লুইডের প্রয়োজন হয়, যা মিলবে লেবুতে।
লেবুর শরবত ডিটএক্স ওয়াটার হিসেবে কাজ করে। গরম তো বটেই সারাবছরই তাই খাওয়া যেতে পারে লেবুর জল।