যুগ পাল্টেছে, তাই পাল্টেছে সময়ও। কিন্তু আজকের আধুনিক যুগের কিছু মানুষের মন আজও পড়ে রয়েছে সেই প্রাচীন প্রথায়। আগেরকার দিনে কন্যাসন্তান জন্ম যেন একধরণের পাপ হিসেবে ধরত পুরুষতান্ত্রিক সেই সমাজ, আর আজও ভারতবর্ষের বেশ কিছু জায়গায় এর প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায়। যার দরুণ প্রায় প্রতিনিয়তই খবরে আমাদের শুনতে হয় কন্যাভ্রুণ হত্যার মত মর্মান্তিক ঘটনা। আর প্রতিটি মেয়েই তো মা দূর্গার প্রতিরূপ, তাই মা দূর্গার আগমণীতে এই কন্যাভ্রুণ হত্যার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে সেই বিষয়কে থিম হিসাবে বেছে নিয়েছে হাটখোলা গোঁসাইপাড়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি।
‘জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’-এর পুজোর আড্ডায় জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত ছিল হাটখোলা গোঁসাইপাড়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির সদস্যরা। সঞ্চালক ইপ্সিতার সাথে সমিতির সম্পাদক উৎসব দত্ত ও কার্যনির্বাহী সদস্য সুপ্রতীক দত্ত ভাগ করে নিলেন পুজো প্রস্তুতির অভিজ্ঞতা।
উত্তর কলকাতার পুরোনো পুজোর মধ্যে অন্যতম এই হাটখোলা গোঁসাইপাড়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি। ৮১ বছর ধরে তারা মায়ের আরাধনা করে চলেছে। আর এবারের ৮২তম বর্ষেও তার অন্যথা হবে না। মন্ডপ থিমের হলেও মায়ের মূর্তি থাকবে একেবারে সাবেকি। অন্যান্যবারের মত এই বছর এখানে পুজোর শুভ উদ্বোধন হতে চলেছে চতুর্থীতে।
এবার আসি ভোগের কথায়। এখানেও একেবারে রীতি মেনে ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত দর্শনার্থীদের ভোগ দেওয়া হয়। এছাড়া অষ্টমীতে পাড়ার প্রতিটি বাড়িতে পোলাও আর পায়েস পাঠানো হয়েই থাকে। আর দশমীতে তাদের পুজোর রীতি অনুযায়ী পান্তাভাত ভোগ দেওয়া হয়।
সবমিলিয়ে হাটখোলা গোঁসাইপাড়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির পুজোয় আসা কিন্তু মাস্ট। কিন্তু কিভাবে আসবেন? দমদম বা কবি সুভাষগামী যে কোনও মেট্রোয় উঠে নামবেন শোভাবাজার-সুতানুটি মেট্রো স্টেশনে। সেখান থেকে কিছুটা হাটলেই পেয়ে যাবেন হাটখোলা গোঁসাইপাড়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির মন্ডপ।