সংক্রান্তির ভোর থেকেই ডুবকিটা কমন, সে কলকাতার গঙ্গা হোক কিম্বা কাকদ্বীপের গঙ্গাসাগর। মাঝখানে উঁকি মারে মিথ।
একদা সগর রাজার ষাট হাজার অপদার্থ ছেলে কপিলমুনির শাপে পুড়ে মারা যায়। মরলেও তাদের মুক্তি হয় না। মুক্তির জন্য চাই গঙ্গার জল। কিন্তু গঙ্গা তখনও স্বর্গে। অনেক চেষ্টার পর ভগীরথ তপস্যায় তুষ্ট করে গঙ্গাকে মর্ত্যে নিয়ে আসেন। সগরের ছেলেদের শাপমুক্তি ঘটিয়ে গঙ্গাধারা সাগরে গিয়ে মেশে। তাই এখানে স্নানরত মানুষের ‘হর হর গঙ্গে!’ ধ্বনিতে পাপ হরণ করার আর্জি থাকে।
শুধু নিজে পাপমুক্ত হয়েও অনেকে রিলিফ পান না, পূর্বপুরুষের মুক্তির কথাও মাথায় আসে। এঁরাই গঙ্গাসাগরে গোদান করে তর্পণ করেন। সাগরতটে পুরুত, নাপিতের অভাব হয় না, অভাব হয় না গরু-বাছুর বেচবার লোকেরও। মেলা মানেই মিলনমেলা, সেখানে ইষ্ট থেকে ইকনোমিকস সবই মেলে। তিনিই মেলান।