পেশাজীবন শুরু করেছিলেন বাবার সিনেমার শুটিং-এর ছবি তুলে। ২২ বছর বয়সে প্রথম সিনেমায় হাতেখড়ি। নবাব ওয়াজেদ আলি শাহ’র জীবনী নির্ভর ছবি ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’ দিয়ে। সত্যজিৎ রায়ের সহকারী হিসেবে। নিজের পরিচালনায় প্রথম ছবি ‘ফটিক চাঁদ’। আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার জিতে নিয়েছিল এই ছবি। বাবা সত্যজিৎ রায়ের তখন অসুস্থ, তার মধ্যেও পুত্র সন্দীপ ছাপ রেখেছিলেন সিনেমা তৈরিতে তাঁর নিজস্ব ধারার। সত্যজিৎ রায়ের ‘শাখাপ্রশাখা’, ‘গণশত্রু’ আর ‘আগন্তুক’-এ তিনি ছিলেন ছবির ডিরেক্টর অফ ফটোগ্রাফি।
সত্যজিৎ পরবর্তী সময়ে ‘সন্দেশ’ পত্রিকার দায়িত্ব তাঁরই কাঁধে। ১৯৯২ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। এখন সন্দেশের সম্পাদক তিনি।
বিখ্যাত বাবা বা পারিবারিক লেগেসি বহনের চাপ থাকলেও তা কখনও কাবু করতে পারেনি এই মৃদুভাষী মানুষটিকে। ছবি বা লেখায় তিনি কাজ করে চলেছেন একেবারে নিজের স্টাইলে। চুপচাপ নিজের কাজটা করে যেতেই ভালোবাসেন।
সিনেমা ছাড়াও তথ্যচিত্র এবং শর্ট ফিল্ম তাঁর অন্যতম সেরা কাজ। কিন্তু আলোচনায় আসে না সেভাবে। সত্যজিৎ-গাম্ভীর্য নয়, কম কথার মানুষ হয়েও নবীন প্রজন্মের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় মানুষটি ‘ফেলুদা’র ফ্যান। তাঁর হাত ধরেই প্রতি শীতকালে কলকাতায় আসেন ফেলুদা।
তাঁর হাত ধরেই প্রফেসর শঙ্কু আর এলিয়েন নেমে এসেছে পর্দায়। এবারের শীতেও পর্দায় আসছে ফেলুদা। সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্ট ‘নয়ন রহস্য' অবলম্বনে এবার ছবি তৈরি করতে চলেছেন তিনি। ফেলুদার ভূমিকায় দেখা যাবে ইন্দ্ৰনীল সেনগুপ্তকে।
সৌমিত্র থেকে সব্যসাচী হয়ে ‘ফেলুদা’র ট্র্যাডিশন আজও চলছে যে মানুষটির হাত ধরে আজ, তাঁর জন্মদিন।