৩৫ বছর ধরে জুলফিকে চিঠি লিখেছে অমৃতা। প্রথম চিঠি লেখে যখন তার দশ বছর বয়স। তারপর থেকে ভালোবাসা, বেদনা, বিষাদ আর আনন্দের সব কথা সে লিখে চলেছিল জুলফিকারের ঠিকানায়। প্রতি চিঠির নিচে লেখা ‘তুমহারী অমৃতা’।
এ. আর গার্নির লেখা ‘লাভ লেটার’কে মঞ্চে এনেছিলেন ফিরোজ আব্বাস খান। মুখ্য ভূমিকায় শাবানা আজমী আর ফারুখ শেখ। ১৯৮৮তে ইংরেজিতে লেখা হয়েছিল মূল নাটক। চারবছর পর মানে ১৯৯২ তে হিন্দি-উর্দুতে জন্ম নেয় ‘তুমহারী অমৃতা’।
বোম্বাইয়ের পৃথ্বী থিয়েটারে ২৭ ফেব্রুয়ারী প্রথম শো। তারপর গোটা দেশে তো বটেই, ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশেও নিয়মিত শো হতে থাকে। তিন দশকেরও বেশি সময় তার জার্নি। আর কোনও নাটকের এমন দীর্ঘ পথ চলার ইতিহাস নেই। ফারুখ শেখের মৃত্যুতে ছেদ পড়ে। তবে অমৃতা আজও স্বমহিমায়। তিনি শুরু থেকেই অন্যরকম।
চিরকাল তিনি অন্যরকম সুন্দরী। পানপাতা মুখ, ফর্সা রং-এর স্টিরিওটাইপ ভেঙে পাশের বাড়ির মেয়ে। মেধার দীপ্তিতে উজ্জ্বল। শাবানা আজমী।
মীনাকুমারী, নূতন, স্মিতা পাতিলের পরেই যে নামটি এক নিঃশ্বাসে উচ্চারণ করে ভারতীয় সিনেমার দর্শক তিনি শাবানা আজমী। হিন্দি ছবিতে ‘নিউ এজ’ ধারাকে যারা মূল বানিজ্যিক ছবির মতোই জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন শাবানা আজমী’র নাম তার মধ্যে প্রথম সারিতে।
সঞ্জয় লীলা বনসালি তাঁর সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘অঙ্কুর, অর্থ, পার, খন্ডহর, আমাদের অবশ্য দেখার ছবি’।
ছবি করেছেন। বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু শাবানা নিজে সেসবে ভয় পাননি কোনওদিন। ভারতীয় নারীর অন্যরকম সংজ্ঞা তৈরি করেছিলেন একটা সময়ে। বাবা কাইফি আজমীর প্রভাব ছিল ভীষণ রকম। অন্যধারার পাশাপাশি মূলধারার ছবিতেও পাল্লা দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
আজ একাত্তরে পা দিলেন শাবানা।
শুভ জন্মদিন