চেনাছকের বাইরে কঙ্কনা

কোঁকড়া চুল। পানপাতা মুখ। অভিমানী দৃষ্টি। বয়ঃসন্ধির বেপরোয়া, জেদি ভাবটাও নজর এড়ায় না। পাহাড় আর মেঘ ছুঁয়ে উড়ে বেড়ানো এক কন্যে। যেন এক রোদমাখা প্রজাপতির গল্প। নাম তার তিতলি। দর্শকরা ভারী ভালোবেসেছিল তাকে। সালটা ২০০০। ছবির জগতে ডানা মেলেছিল তিতলি। ভালো নাম কঙ্কনা সেনশর্মা।

kon-1

সিনেমা তাঁর রক্তে। সিনেমায় বড় হয়ে ওঠা। মায়ের সঙ্গে ছোটবেলায় সিনেমার সেটে যেতে বেজায় ভালোবাসতেন।

১৯৮৩-তে প্রথম পর্দায় আসা। মা অপর্ণা সেনের সঙ্গে। ‘ইন্দিরা’ ছবিতে। কঙ্কনা এক অন্য ধারার অভিনেত্রী। তাঁর অভিনয়ের দর্শনও চেনাছকের বাইরে। সেখানে ‘কমার্শিয়াল’ আর ‘প্যারালাল’-এর ঝগড়া নেই। তিনি অলরাউন্ডার। ছক্কা হাঁকান সব খেলাতেই। "মিস্টার অ্যান্ড মিসেস আইয়ার", "পেজ থ্রি", "লাইফ ইন আ মেট্রো" যেমন আছে তেমনি আছে "আজা নাচলে" "ওয়েক আপ সিড", "লাগা চুনরি মেঁ দাগ" - সবেতেই তিনি বেস্ট চয়েস।

kon-2

‘ইন্ড্রাস্ট্রি’র তৈরি করে দেওয়া 'নায়িকা'র সংজ্ঞাকে ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছেন নিজের মেধাবী অভিনয় দিয়ে।

নিজের পরিচালনায় ছবিও করেছেন। বাবা মুকুল শর্মার লেখা গল্প নিয়ে "আ ডেথ ইন দ্য গঞ্জ"। আর একটি স্বল্প দৈর্ঘের বাংলা ছবি "নামকরণ"। স্বীকৃতি এসেছে দেশ বিদেশ থেকে। একের পর এক পুরস্কারের পালক যোগ হয়েছে মুকুটে। এই সময়ের অন্যতম শক্তিশালী এই ভারতসুন্দরীর আজ জন্মদিন!

ভালো থাকুন কঙ্কনা!

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...