পুষ্পাআআআআ…!
এক নামে ঝড় উঠেছিল গোটা দেশ জুড়ে। একটাই সেনসেশন ‘পুষ্পা’। এক ধাক্কায় চমমনে ইন্ড্রাস্ট্রি। বক্সঅফিসে আয় ২২৩ কোটি টাকা। ‘পুষ্পা দ্য রাইজ’ মুক্তি পেয়েছিল ১৭ ডিসেম্বর। সেই সাফল্যের পর এই জুলাই থেকেই শুরু হতে চলেছে পুষ্পা-২-এর শুটিং। জন্মদিনের ঠিক আগে আগেই শুটিং শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আল্লু অর্জুন টিম। ছবির চূড়ান্ত চিত্রনাট্য, লোকেশন, সেট পরিকল্পনার কাজ সম্পূর্ণ। তবে তার আগে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটিয়ে আসতে চান সুপারস্টার আল্লু।
যদিও তাঁর জন্মদিন পালনের নিয়মে কোনও বদল ঘটবে না এবারেও। প্রতি বছর নিজের জন্মদিনে ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের আয়োজন করেন তিনি। বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের মধ্যে জন্মদিনটি কাটান। নিজের ফ্যানেদেরও রক্ত সংগ্রহের ব্যাপারে উৎসাহ দেন।
তেলেগু সিনেমার সবচেয়ে স্টাইলিশ সেলিব্রিটি বলা হয় তাঁকে। নাচ, অভিনয়, স্টাইল সেন্স, পরিশ্রম করার ক্ষমতা আর পরিমিতি বোধ তাঁকে করে তুলেছে তাঁর নিজের সময়ের আইকোন। ছোটবেলায় জিমনাস্টিক করতেন। সেই থেকেই বডি ফ্লেক্সিবেলিটি নিয়ে তাঁকে ভাবতে হয়নি। ডাক নাম বান্নি। আল্লু খুব ভালোবাসেন তাঁর ডাক নামটিকে। সহকর্মী বা ফ্যানদের কাছে তিনি ‘বান্নি’।
তাঁর প্রিয় ছবির তালিকায় একেবারে উপরের দিকে কাকা চিরঞ্জিবীর ‘ইন্দ্র’। অজস্রবার দেখেছেন।
তাঁর নাম ‘আল্লু অর্জুন’ হলেও অনেকের কাছেই তিনি ‘মাল্লু অর্জুন’। কেরালায় তাঁর প্রচুর ফ্যান। তারাই আল্লুর এই নাম দিয়েছে। ব্লকবাস্টার হিট আরিয়া-২ ১০০ দিনের বেশি চলেছে থিয়েটার হলে।
প্রিয় বই ‘হু মুভড মাই চিজ’। শুটিং বা ছবির কাজ না থাকলে বইয়ের মাঝেই কাটে তাঁর অনেকটা সময়। পেন্টিং আর ফটোগ্রাফির চর্চাও করেন নিয়মিত। গানও পেয়েছেন আল্লু। ২০১৬-তে ‘সরাইন্নদু’ ছবিতে।
২০০৩ সালে ‘গঙ্গোত্রী’ ছবি দিয়ে ছবির দুনিয়ায় পা রাখলেও এই ছবিকে টেকনিক্যালি তাঁর ‘ডেবিউ ফিল্ম’ বলা যায় না। আল্লু বিগস্ক্রিনে পা রেখেছিলেন তারও আগে শিশুশিল্পী হিসেবে। ১৯৮৫-তে আল্লু অরবিন্দ প্রযোজিত চিরঞ্জিবী অভিনীত ‘বিজেতা’ ছবি দিয়ে পা রেখেছিলেন ছবির দুনিয়ায়।
আল্লুর আর এক প্যাশন গাড়ি।বিশেষ করে রেঞ্জ রোভার। প্রিয় বাহনদের ডাক নামও দেন অভিনেতা। তাঁর ৭ কোটি মূল্যের ভ্যানিটি ভ্যান দেখলেই আন্দাজ করা যায় যানের প্রতি তাঁর আকর্ষণ। নিজের কেরিয়ারের জন্য ব্যাকআপ প্ল্যানও ভেবে রেখেছেন। সিনেমার কেরিয়ারে যদি কোনওদিনও রানের খরা আসে তাহলে অ্যানিমেটর হয়ে যাবেন। পুরোপুরি ছবিতে আসার আগে অ্যানিমেটর হিসেবে ইন্টার্নশিপও করেছেন হায়দরাবাদের একটি সংস্থায়।