তাঁর চোখে সেরা ‘ফেলুদা’ স্বয়ং সত্যজিৎ

জীবনে কোনওদিনই অভিনেতা হতে চাননি। ধ্যানজ্ঞান ছিল ক্রিকেট। স্বপ্ন ছিল ২২ গজে রাজত্ব করবেন। শুধু ক্রিকেট নয়, পুলিশ, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট সব কিছুই ছিল তাঁর ‘হতে’ চাওয়ার ইচ্ছে।

শেষ পর্যন্ত হলেন গোয়েন্দা। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পর বাংলা তো বটেই, বিশ্বের বাঙালির কাছে তিনি ‘ব্র্যান্ড ফেলুদা’। সব্যসাচী চক্রবর্তী। টলিউড থেকে বলিউড সবর্ত্রই চেনা মুখ। কাজ করেছেন সেরা চলচ্চিত্র পরিচালকের সঙ্গে। কিন্তু প্যাশনের জায়গায় তিনি সত্যি সত্যিই সব্যসাচী।

b989eb6e-e11b-4275-aae6-eb1a9c86116f (1)

কেরিয়ারের শুরু হয়েছিল ইলেকট্রো মেডিকেল ডায়াগনস্টিকসে। দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে শুরু নাটক জীবন। 

তারপর জীবন বাঁক নিল একেবারে অন্য দিকে। কলকাতায় তখন সবে ‘সিরিয়াল’এর ‘কনসেপ্ট’ শুরু হয়েছে। বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব জোছন দস্তিদার নতুন মুখ খুঁজছেন তেরো পার্বণ-এর জন্য। তিনি আবার সম্পর্কে পিসেমশাই হন।

সেই সেটেই ডাক পড়ল রোগা লম্বা, ছেলেটার। ক্যামেরার সামনে আদৌ কতটা কী করতে পারবেন তা নিয়ে নিজেরও সন্দেহ কম ছিল না।  কিন্তু মানুষের ভালো লেগে গেল তাঁকে।

সেই ভালোলাগা এখনও অম্লান। গত ২০ বছর ধরে তিনিই ‘ফেলুদা’। ‘দিল সে’, ‘পরিণীতা’, ‘খাকি’র মতো হিন্দি ছবিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। শুধু গোয়েন্দা চরিত্র নয়, তিনি যর্থার্থ ‘ভার্সেটাইল অ্যাক্টর’!

ফেলুদার সঙ্গে তাঁর পরিচয় বইয়ের পাতা থেকে। বাবার সঙ্গে মিল পেতেন ফেলুদার। পরে অবশ্য তাঁর চোখে সেরা ফেলুদা সত্যজিৎ রায় স্বয়ং। একবার সটান চলে আসেন বিষপ লেফ্রয় রোডে সত্যজিতের বাড়িতে। তাঁকে জানিয়েছিলেন ‘ফেলুদা’ হতে চান। কিন্তু জটায়ু সন্তোষ দত্তর মৃত্যুতে সত্যজিৎ আর ইচ্ছুক ছিলেন না ফেলুদার নতুন সিনেমা বানাতে। কথা বলতে বলেছিলেন সন্দীপ রায়ের সঙ্গে।

 সন্দীপ রায়ের ‘বাক্স রহস্য’ টেলিফিল্ম এবং ফেলুদার উপর টিভি সিরিজে অভিনয় করার পর তিনি ফের ফেলুদা হলেন ‘বোম্বাইয়ে’র বোম্বেটে’ ছবিতে।  

পর্দা জীবন ছাড়াও নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন একাধিক ক্ষেত্রে। ‘বেণুদা’ ওরফে সব্যসাচী চক্রবর্তী এখন ব্যস্ত ‘ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার’। পরিবেশ এবং বন্যপ্রাণ নিয়ে কাজ করে চলেছেন নিরলসভাবে। আজ বাঙালির এই ব্র্যান্ড ফেলুদার জন্মদিন!

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...