সম্প্রতি ডুয়ার্সে আয়োজিত হয়ে গেল একটি ম্যারাথন দৌড়। কেন্দ্রীয় সরকারের আয়োজনে এই দৌড় যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে দেশীয় তথা বিদেশী পর্যটকদের মধ্যে। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে যেহেতু ডুয়ার্স অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, তাই খোদ জঙ্গলের মধ্যেই ম্যারাথন দৌড়ের আয়োজন করা হয়েছিল। জঙ্গলের বুক চিরে এই দৌড়ের অনুভূতিই ছিল আলাদা। ১৪ এপ্রিল এই দৌড়ের আয়োজন করা হয়েছিল। মালবাজার থেকে চালসা পর্যন্ত এই দৌড়ের ব্যবস্থা ছিল। হাফ ম্যারাথনটি তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। ৫০ কিমি, ১০ কিমি, ৫কিমি।
মোট ১২০ জন পর্যটক ওই ম্যারাথনে অংশ নিয়েছিলেন। রাজ্যের বাসিন্দাদের পাশাপাশি দৌড়ে অংশ নেন কর্ণাটক, ঝাড়খন্ড, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম এবং সিকিমের পর্যটকেরা। এছাড়াও উল্লেখ্য বিষয় হল সুইৎজারল্যান্ড, আমেরিকা সহ নেপাল, ভুটান এবং বাংলাদেশ থেকে বিদেশি পর্যটকরাও হাজির ছিলেন ওই দৌড়ে। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল এবং পূর্বাঞ্চলের রিজিওনাল ডিরেক্টর সাগ্নিক চৌধুরী জানান, এই দৌড়ে এতটা সাড়া পড়বে, তা তাঁরা নিজেরাও ভাবেননি। রাজ্যের পাশাপাশি দেশ এবং দেশের বাইরেও ডুয়ার্সের সৌন্দর্য তুলে ধরাই ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য, যাতে তাঁরা সফল হয়েছেন।জঙ্গলে অংশগ্রহনকারীদের নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয়ে বনদফতর সবরকমভাবে সাহায্য করেছিল বলে জানান তিনি।
এই ম্যারাথন দৌড়ের মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা যথেষ্টই ইতিবাচক। যদিও গত আর্থিক বছরে বাইরের দেশ থেকে কতজন পর্যটক এদেশে এসেছেন, সেই তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। কিন্তু গত নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা ৯৩ লক্ষ ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, ২০২০ সালের মধ্যেই সেই সংখ্যা যাতে ২কোটিতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়, তার ব্যবস্থা করা। সেটা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের সংগে সহযোগিতা করে বিশ্বের দরবারে পশ্চিমবঙ্গকে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।