চুলের বীমা!

সুন্দর চুল কে না চায়? চুল হল মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধির একটি মূল অংশ। পুরুষ কিংবা মহিলা সকলেই চুলের যত্ন নিয়ে থাকেন। কেউ সুন্দর বড় এক ঢালা চুল পছন্দ করেন আবার কেউ ব্যস্ততার জন্য ছোট চুল পছন্দ করেন। বর্তমানে কিন্তু পুরুষ মহিলা উভয়েই নিজেদের চুলের যত্ন ও স্টাইলিং সম্পর্কে বেশ সচেতন। কিন্তু বয়েসের সাথে সাথে চুল নিয়ে নানা সমস্যার শিকার হতে হয় সকলকে। চুল পেকে যাওয়া ছাড়াও চুল পড়ে যায় বেশীরভাগ মানুষের। কিংবা কোনো রোগের শিকার হয়ে মাথার চুল উঠে যায় অকালেই। এবার ধরুন আপনার নিজের সুন্দর ঘন চুল যদি বয়েস কালেও সমান ভাবে পাওয়া যেত তাহলে কেমন হত? কী অবাক লাগছে তো? তাহলে বলি ঠিক এমনটাই হতে চলেছে। সম্প্রতি ইউনাইটেড কিংডম বার্ধক্যে চুলের সমস্যা এড়াতে সরকারী ভাবে এক বিশেষ ব্যবস্থা চালু করছে। যার ফল স্বরূপ বয়েস কালেও থাকবে স্বাস্থ্যবান সুন্দর চুল। 

hair-5

সূত্রের খবরইউকে-র সরকারী মানব টিস্যু কর্তৃপক্ষ(হিউম্যান টিস্যু অথরিটি) চুলের নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি বায়োটেকনোলজি কোম্পানি অনুমোদন করেছে যার নাম হেয়ার ক্লোনবার্ধক্যের চুল পড়ে যাওয়া বা পেকে যাওয়া থেকে মুক্তি পেতে ইউকে একটি সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তির ব্যাবহার করছে। আরও জানা যায় উক্ত প্রযুক্তির জন্য সরকারী ভাবে একটি বীমার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

 hair-4

এই প্রযুক্তি কিন্তু চুল প্রতিস্থাপনের অন্যান্য প্রযুক্তি গুলি থেকে সম্পূর্ন ভিন্ন। এক্ষেত্রে প্রথমে আগ্রহী ব্যক্তিদের স্ক্যাল্প থেকে প্রায় ১০০ ফলিকলস সংগ্রহ করা হবে নমুনা হিসাবে। এক্ষেত্রে ফলিকলস একমাত্র তখনই সংগ্রহ করা যখন উক্ত ব্যক্তির চুলের ভালো গ্রোথ থাকবে। পরে ঐ সংগ্রহ করা নমুনা গুলি রাখা হবে 'সাব জিরো স্টোরেজ ফেসিলিটিতে'পরবর্তীকালে ঐ স্যাম্পেল গুলি ল্যাবের মধ্যে এক বিশেষ পদ্ধতিতে আরো বৃদ্ধি করে নেওয়া হবে। বার্ধক্যর সময় উক্ত ব্যক্তির চুলজনিত সমস্যা হলে ঐ বৃদ্ধি করা ফলিকলস ইনজেকশনের মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তির স্ক্যাল্পে প্রবিষ্ট করানো হবে যাতে তারা পুনরায় তাদের পূর্বের চুলের গ্রোথ ফিরে পায়। 

hair-3

চুল প্রতিস্থাপনকারী সার্জেন ও হেয়ার ক্লোনের মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডাঃ বিসাম ফার্জো বলেন উক্ত বিষয়ের জন্য তারা লাইসেন্স পেয়ে গেছেন। এবার এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন ভাবে চুল প্রতিস্থাপনের কাজ কার্যকরী করা হবে।আগ্রহী ব্যাক্তিগণ অবিলম্বে এসে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তবে এই পদ্ধতি ১৮ বছর বয়সোর্ধ্ব ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে যে কেউ তাদের চুলের গ্রোথও বাড়িয়ে নিতে পারবেন। ডাঃ ফার্জোর মতে এই পদ্ধতিতে চুলের বীমা কম বয়সেই করিয়ে নেওয়া ভালো। অর্থাৎ যখন চুলের ঘনত্ব বেশি থাকে, তখনই বীমা করিয়ে নিলে পরবর্তীতে ফলিকলগুলি ভালোভাবে কাজ করে। তাই তিনি ২০-৩০ বছরের মধ্যেই বীমা করিয়ে নিতে বলছেন। এছাড়া যাদের বংশগত টাক পড়ার প্রবণতা রয়েছে, তাদের অবশ্যই অল্প বয়সে এই বীমা করার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাঃ ফার্জো।

hair-1

hair-2

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...