ক্যালিফোর্নিয়া’র সিলিকন ভ্যালিতে কেরিয়ারের চূড়ায় তখন। সেটা ২০১৬ সাল। স্যানফ্রানসিস্কো’র বাসিন্দা বিবেক শা চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। কারণ, সস্ত্রীক দেশে ফিরে গুজরাটে ‘খাদ্য বন’ বানানোর পরিকল্পনা তাঁর। বাকিটা ইতিহাস।
“প্রথমে একসাথে খাবার বানাতাম আমরা। প্রবাসে স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণেই বানাতাম হাতে বানানো খাওয়ার। তখনই একদিন মনে হল, যে খাবারগুলো বানাচ্ছি, সেগুলো আসছে কোথা থেকে?” বলছিলেন বিবেক। সবুজ গাছে ঘেরা এলাকাতেই এখন তাঁর বাস। স্বদেশের এই সব সবুজ গাছপালা তাঁকে বারবার ফিরিয়ে দেয় শৈশবে। আরেকবার শৈশবে ফেরার কথা ভেবেই ‘খাদ্য বন’ বানানোর পরিকল্পনা নিলেন তিনি। ফিরে এলেন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ভারতে।
বিবেকের কথায়, “প্রবাসে ভ্রমণ করার সময়েই একটি স্ট্রবেরি ক্ষেত চোখে পড়ে। দেখতে পাই, সাদা কাপড় পরা এক ব্যক্তি সেই ক্ষেতে রাসায়নিক ছড়াচ্ছেন। ওই ব্যক্তির জন্যেই তো আমরা সতেজ সব্জিগুলি খেতে পারছি? এই ব্যক্তির জন্যেই তো প্রকৃতিও এতটা উপকার পাচ্ছে? এর পরেই আমরা স্বদেশে ফিরে খাদ্য বন বানাবার পরিকল্পনা করি।’
তিনি আরো জানান, “যদিও আমাদের কৃষিকাজ নিয়ে কোনও পড়াশোনা ছিল না। কিন্তু পরবর্তীকালের কিছু কোর্সের মাধ্যমেই আমরা এ বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারি।" এর পর, ২০১৭ সালে আহমেদাবাদ থেকে দেড় ঘন্টা দূরত্বে ১০ একরের জমি কেনেন এই দম্পতি। গুজরাটের অদূরে এই জমিতেই খাদ্য বন বানাবার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। নানা ভাবে এই জমিকে পরিচর্যা শুরু করেন। কিছুদিনের মধ্যে হাতেনাতেই মেলে ফল। সবুজ ক্ষেত ভরে ওঠে নানা ফলে। হাওয়া দিলে দুলেও ওঠে সেই ফল ও ফুল।’
এর পর পরিকল্পনা কি? বিবেক জানালেন, নিজেদের হাতে অর্জিত শিক্ষাকে ছড়িয়ে দিতে হবে অন্যাদের মধ্যেও। তাই কিছু ওরার্কশপের ব্যবস্থাও করছেন বলে জানালেন তাঁরা।