ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অরগানাইজেশন বা ইসরো বছরের শুরুতেই সাফল্য পেল। জিস্যাট-৩০-র সফলভাবে উৎক্ষেপন করা হল শুক্রবার। ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন এই উপগ্রহটিকে জিস্যাট সিরিজের সবচেয়ে উন্নত কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট বলে আগেই দাবি করেছেন। ৩৩৫৭ কিলোগ্রাম ওজনের জিস্যাট-৩০ উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থায় যথেষ্ট পরিবর্তন আনতে চলেছে বলে আগেই ইসরো জানিয়েছিল। এই উপগ্রহটির সফল উৎক্ষেপনের ফলে আগামী দিনে দেশে টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হওযার পাশাপাশি টেলিভিশন প্রযুক্তি যথেষ্ট লাভবান হবে বলে জানানো হয়েছে ইসরোর তরফ থেকে।
এদিন ভারতীয় সময় রাত ২টো বেজে ৩৫ মিনিটে দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরপূর্ব উপকূলবর্তী উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ফ্রেঞ্চ গিনি থেকে আরিয়ানা-৫ লঞ্চ ভেহিকেলের (ভি এ -২৫১) পিঠে চেপে পৃথিবীর কক্ষপথে যায় জিস্যাট-৩০ উপগ্রহটি। এই মিশনের সময়কাল হল ১৫ বছর। ফ্রেঞ্চ গিনি থেকে এর আগে প্রায় ২০টি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে ইসরো। ১৯৮১ সাল থেকে এই কেন্দ্রটি ব্যবহার করে আসছে ভারতীয় মহাকাশ কেন্দ্রটি।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ভারী কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট ইনস্যাট ৪-সি-র মিশন যখন ব্যর্থ হয়ে গিয়েছিল, তখন ইনস্যাট ৪-এ উপগ্রহ মহাকাশে পাঠায় ইসরো। কিন্তু এর কাজ করার ক্ষমতা সীমিত গন্ডির মধ্যে রয়েছে। দেশের বিভিন্ন অংশ তো বটেই, পাশাপাশি এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, গালফ দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখতে সক্ষম হবে এই জিস্যাট-৩০। এই অত্যাধুনিক উপগ্রহের আগে জিস্যাট সিরিজের বেশ কিছু উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে ইসরো। ভারতীয় নৌবাহিনীকে সাহায্যের জন্য ২০১৩ সালে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল জিস্যাট-৭ স্যাটেলাইটটিকে। ভারত মহাসাগরে কড়া নজরদারি চালায় এই উপগ্রহটি। শত্রু জাহাজের গতিবিধি টের পেলেই সেই বার্তা গ্রাউন্ড স্টেশনে পাঠিয়ে দেয় জিস্যাট-৭। সেনাবাহিনীতে এই উপগ্রহটিকে রুক্মিণী নামেও ডাকা হয়।
India's communication satellite #GSAT30 was successfully launched into a Geosynchronous Transfer Orbit by #Ariane5 #VA251.
— ISRO (@isro) January 16, 2020
Thanks for your support !!!
For details please visit: https://t.co/FveT3dGuo6
Image Courtesy: Arianespace pic.twitter.com/67csn0zZq7