চলতি বছরের শুরু থেকেই খবরে ছিলেন গ্রেটা থুনবার্গ। সুইডেনের ১৬ বছর বয়সী এই পরিবেশকর্মী যেভাবে জলবায়ু সংকট আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এলেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। এই মুহূর্তে সারা পৃথিবীর জলবায়ু আন্দোলনের মুখ এই স্কুল ছাত্রী।তার গড়ে তোলা পরিবেশ আন্দোলন ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’ ইতিমধ্যে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের একটি সম্মেলনে জলবায়ু সংকটের সমস্যায় বিশবের তাবড় তাবড় নেতারা হাত গু টিয়ে বসে থাকায় কড়া সমালোচনা করে সে। গ্রেটা থুনবার্গ বলে, ‘সত্যিকার বিপদটা হলো যখন রাজনীতিবিদ ও সিইওরা সত্যিকারের কাজ কিছু করে না, কেবল কাজের ভান করেন, কিন্তু আসলে কিছুই কাজ করা হয় না।’
নোবেলের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিল এই কিশোরী। পরে বিকল্প নোবেল পুরস্কার 'রাইট লাইভলিহুড' সম্মান দেওয়া হয় । পরিবেশ রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে রাজনৈতিক দাবিগুলিকে উৎসাহিত করার জন্যই গ্রেটাকে স্বীকৃতি জানানো হয়।
সবকিছু বিবেচনায় বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ২০১৯-এর ‘পার্সন অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করেছে গ্রেটা থুনবার্গকে।
গত বছর আগস্ট মাসে গ্রেটা সুইডিশ পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ করে। তার সঙ্গে যোগ দেয় লক্ষ লক্ষ কিশোর-তরুণ যোগ দেয়। গ্রেটা থুনবার্গ বলে, আমরা এক বিরাট দুর্যোগের সম্মুখীন, তাই এখন কী বলা যাবে বা যাবে না, এ নিয়ে না ভেবে স্পষ্ট করে কথা বলার সময় এসেছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বিচারেও ২০১৯-এর সেরা নারীদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে গ্রেটা।