রাজ্যের সব স্কুল পড়ুয়াকে শুভেচ্ছা কার্ড

এখন সব জায়গায় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময় হয়। কারোর আর শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর জন্য কার্ড কেনার সময়ও নেই এবং সেই ইচ্ছেটাও হয়ত চলে গেছে। যে কোনো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে এখন বিভিন্ন রকম ভুরি ভুরি গ্রিটিংস-এর সমাহার। শুধু ছবিই নয়, জিআইএফ বা ভিডিও-র আকারেও মেলে বিভিন্ন পার্বনের শুভেচ্ছা বার্তা। অনেক সময় তো আবার নিজেরাও পছন্দমতো বানিয়ে নিয়ে পাঠানো যায়। তাই সেই নব্বই-এর দশকে যে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর ক্রেজ ছিল সকলের মধ্যে সেটা এখন লুপ্তপ্রায়। রং-বেরঙের কার্ড কেনা এবং তা বন্ধু বা আত্মীয়-পরিজনদের পাঠানো একটা রেওয়াজ ছিল।

    এই রেওয়াজকেই আবার সামনে আনতে চাইছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিনি একটু অন্যরকম ভেবেছেন। বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের পাঠাবেন এই শুভেচ্ছা বার্তা। নতুন বছরে রাজ্যের সব পড়ুয়াকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে তিনি তাদের মধ্যেও এই কার্ডের প্রচলন করতে চাইছেন। রাজ্যের সমগ্র শিক্ষা অভিযানের প্রকল্প অধিকর্তা (এসপিডি) আর বিমলা এই চিঠি জিটিএ-র প্রধান সচিব সহ সমস্ত জেলা শাসক, শিলিগুড়ি মহকুমা পর্ষদের অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিককে পাঠিয়েছেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল টেক্সট বুক কর্পোরেশনের কাছ থেকে এই কার্ডগুলি আসবে।  সমগ্র শিক্ষা অভিযানের জেলা শিক্ষা অধিকর্তা সেদিনই কার্ডগুলি সার্কেল অফিসে পাঠাবেন। প্রতিটি সার্কেল অফিসকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন সেদিনই সব কার্ড বিলি করেন। স্কুলগুলিও যাতে ৭ জানুয়ারিতেই এই বিলি শুরু করেন, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সার্কেল অফিস থেকে। শুধু কার্ড বিলি করাই নয়, তাতে প্রত্যেক প্রাপকদের নাম থাকতে হবে। অর্থাৎ যে যে পড়ুয়া ওই কার্ড পাবে, সেই কার্ডের ওপর তাদের নাম থাকতে হবে। সেই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধানশিক্ষককে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ম করে পয়লা বৈশাখবিজয়াতে কার্ড পাঠিয়েছেন শিল্পপতিদের। এবারে পড়ুয়াদের মধ্যেও সেই রকমই কার্ড বিলি করে তাদের মধ্যেও সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী বলাই যায়। এই সংস্কৃতি কতটা কার্যকর হয়, সেটাই এখন দেখার। এখনও বেশ কিছু জায়গায় বা দোকানে পুরোনো কার্ডের চল রয়েছে। সেটার যদি প্রসার ঘটে, তাহলে তো খুবই আশার কথা।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...